
কলকাতা: ‘স্যালারি ডিসবার্সমেন্ট’ হয়েছে কিনা, তা নিয়েই ছিল বুধবার চাকরিহারাদের ডিআই অফিস অভিযান কর্মসূচি। চাকরিহারারা এই দু’মাস বেতন পাবেন কিনা, তা নিয়েই আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। অথচ বুধবার এই ডিআই অফিস অভিযান নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি রাজপথে। চাকরিহারাদের পিঠে পড়ল পুলিশের লাঠির ঘা! কিন্তু আদৌ কি চাকরিহারারা বেতন পাবেন? কী বলছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু?
বিকাশভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, কোনও স্কুলে টারমিনেশন লেটার নেই। আমরা পোর্টাল আপডেট করব। কোথাও বেতন বন্ধের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিনা, আমার জানা নেই।”
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “ওনারা আশঙ্কা করছেন। যে কোনও একটা পন্থায় থাকুন। হয় আন্দোলন করুন, নয়তো আলোচনা করুন। ওরা যে কোনও পন্থা নিতে পারে, আমরা শান্ত ভাবে, মানবিকভাবে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর।”
চাকরিহারাদের আন্দোলনকে ‘ধ্বংসাত্মক’ও অ্যাখ্যা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর এর নেপথ্যে ‘প্রোভোকেশন’তত্ত্বও খাড়া করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও কীভাবে তাঁরা প্রতিবাদে নামলেন? উল্লেখ্য, গত সোমবারই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের একাংশের সামনে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁদের জন্য বিকল্প পথ খোঁজার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে। কিন্তু আপাতত শিক্ষকদের স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। দু’মাস পুষিয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। কিন্তু ‘স্বেচ্ছাশ্রম’, ‘পুষিয়ে দেওয়া’ এই শব্দবন্ধগুলোতেই আপত্তি রয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের।