কলকাতা: ‘দাদু খায় নাতি খায়…’ এই ক্যাপশন বাংলার স্বাদে ও আবেগে জড়িয়ে। আর সেই আবেগে আঘাত। বন্ধ হয়ে গেল তারাতলা ব্রিটানিয়া কোম্পানি। কলকাতার বুকে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছিল ব্রিটানিয়া কোম্পানি। কারখানায় স্থায়ী কর্মী ছিলেন ১২২ জন। অস্থায়ী কর্মী ছিলেন ২৫০ জন। স্থায়ী কর্মীদের এককালীন ক্ষতিপূরণ দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন অস্থায়ী কর্মীরা। এই কোম্পানিতে আড়াই হাজার টন উৎপাদন হত প্রতিবছর। কর্মীরা কাজে গিয়ে হঠাৎ করেই কারখানার গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেখতে পান। বাংলার শিল্পে আরও এক দুঃসংবাদ।
কোম্পানির তরফ থেকে কারখানা বন্ধের কারণ স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইছেন না কর্মীরা। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করতেন, তাঁদের এক কালীন টাকা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদেরকে এক কালীন ২২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ছ’ থেকে দশ বছরের নীচে যাঁরা চাকরি করেছেন, তাঁদেরকে ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। তার নীচে যাঁরা চাকরি করেছেন, তাঁদেরকে ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু ২০০৪ সাল থেকে এই কোম্পানি ‘ক্যাজুয়াল স্টাফ’ নেওয়া শুরু করে। বর্তমানে এই কোম্পানিতে ২৫০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন।
বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা নতুন কিছু নয়। আগামী দিনে আরও কারখানা বন্ধ হবে , আর আসবেও না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে শিল্পবিরোধী চিত্র তৈরি হয়েছে, যে দল তোলাবাজি করে, তার উপস্থিতিতে কখনই শিল্প আসবে না।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বাংলার শিল্পে পরপর ধাক্কা। এর আগে একাধিকবার এই প্রসঙ্গ এসেছে। বিধানসভায় বলা হয়েছে, চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। শিল্পকে বাঁচানোর কোনও আগ্রহ নেই। ব্রিটানিয়া বাঙালির আবেগও বটে, বন্ধ হয়ে গেল।”