Calcutta HC Declines CBI: ‘পরে দেখা যাবে,’ নাবালিকার ধর্ষণ মামলায় সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ কলকাতা হাইকোর্টের
Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই তদন্ত চেয়ে দায়ের করা পিটিশনের শুনানি চলছিল।
কলকাতা: সোমবার বসিরহাটের নাবালিকার ধর্ষণ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটের মাটিয়ার ১১ বছর বয়সী এক নাবালিকার ধর্ষণের মামলার সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে আদালত। তবে ওই মামলার সিবিআই তদন্ত (CBI Investigation) চেয়ে যে পিটিশন জমা পড়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন আদালত আবেদনকারীকে জানিয়েছে, পুলিশ বাহিনীর কোন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে দিয়ে নিরেপক্ষভাবে ঘটনার তদন্ত করানো যেতে পারে সুপারিশ জানানো যেতে পারে। তাঁর পর্যবেক্ষণেই ঘটনার পরবর্তী তদন্ত এগিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, গত মাসের ২৫ তারিখ ওই নাবালিকা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে মাটিয়ার একটি পার্কের কাছ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল যে ও নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করার পর, পুলিশ তাঁকে বসিরহাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। শনিবার এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নির্যাতিতার মাসি ও প্রধান অভিযুক্ত শাহার আলি সদরকে হাওড়া ডোমজুড় থেকে গ্রেফতার করেছিল।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই তদন্ত চেয়ে দায়ের করা পিটিশনের শুনানি চলছিল। শুনানির শেষদিন রাজ্যের অ্যাডোভোকেট জেনারেল এস এন মুখার্জীর কাছে এই নির্মম ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে চেয়ে হলফনামা পেশ করা নির্দেশ দিয়েছিল আদালত এবং পরবর্তীকালে কেস ডায়েরিও আদালতের কাছে পেশ করতে বলা হয়েছিল। সোমবার রাজ্য সরকারে দাখিল করা বিস্তারিত রিপোর্ট ও কেস ডায়েরি বিশ্লেষণ করে আদালত জানতে পারে যে নির্যাতিতার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। রাজ্য সরকার আদালতকে জানিয়েছে, নির্যাতিতার চিকিৎসার জন্য আর জি কর হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। আদালত জানতে পেরেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারও করা হয়েছে।
এই ঘটনার তদন্তের জন্য ৫ জন পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে, তবে সিআরপিসি-র ১৬৪ নম্বর ধারায় নির্যাতিতার বয়ান এখনও রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি। অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে জানিয়েছে, নির্যাতিতার অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ার কারণে বয়ান রেকর্ড সম্ভব হয়নি এবং পরবর্তীকালে মেডিক্যাল বোর্ডের অনুমতি ক্রমেই বয়ান রেকর্ড করা হবে। শুনানি চলাকালীন মামলাকারীর এক আইনজীবী নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সিবিআইকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করানোর জোরাল দাবি করেছিলেন, তবে সেই আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছে, “কোনও সময়ে আমাদের যদি মনে হয় তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনও গাফিলতি রয়েছে, তবে আমার সিবিআই তদন্তের কথা ভেবে দেখব।” কোন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিককে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে, মামলাকারীকে সেই সুপারিশ করতে বলেছে আদালত। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।