AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jhalda Municipality: ৩০ জুন পর্যন্ত শীলাই চেয়ারম্যান থাকছেন, নির্দেশ হাইকোর্টের

Jhalda Municipality: এর আগে ঝালদার মহকুমা শাসক শীলা চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থী পদ খারিজ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রেও স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত।

Jhalda Municipality: ৩০ জুন পর্যন্ত শীলাই চেয়ারম্যান থাকছেন, নির্দেশ হাইকোর্টের
শীলা চট্টোপাধ্যায়।
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2023 | 3:31 PM
Share

কলকাতা: ঝালদা (Jhalda) পুরসভা সংক্রান্ত মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের পর সিঙ্গল বেঞ্চেও ধাক্কা খেল রাজ্য। চেয়ারম্যান পদে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে বহাল রাখার নির্দেশ আগেই দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। তবে মূল মামলা ফের সিঙ্গল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান থাকবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। অন্তর্বর্তী নির্দেশের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়ে এদিন জানিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পাশাপাশি রাজ্যের মনোনীত অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান পদে বহাল করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তের ওপরও ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল রাখা হল স্থগিতাদেশ।

এর আগে ঝালদার মহকুমা শাসক শীলা চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থী পদ খারিজ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রেও স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত।

গত ২০ জানুয়ারি এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট শীলা চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ খারিজের সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। একইসঙ্গে সুদীপ কর্মকারকে নতুন চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তের উপরও স্থগিতাদেশ বহাল রাখা হয়। আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দুকে পুরসভা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর রাজ্য সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলাই আবারও সিঙ্গল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি ওয়ার্ড। গত পুরভোটে কংগ্রেস ও তৃণমূল ৫টি করে আসন পায়। বাকি ২ আসন জেতেন নির্দলের শীলা চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ কর্মকার। এই দুই নির্দলের সমর্থনে প্রথমে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। যদিও পরে একে একে সোমনাথ ও শীলা সেই সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। এরপর সেই বোর্ডে অনাস্থা আনে কংগ্রেস। নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ যোগ দেন কংগ্রেসে। তবে শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলেই থেকে ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে ওঠেন ঝালদা পুরসভার। কংগ্রেস তাঁকে চেয়ারপার্সন করার কথা ঘোষণা করে। পাল্টা বোর্ড গঠনে সমর্থন করেন শীলাও। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলে জিতলেও তৃণমূলে যোগ দেন। এখন তিনি আবার কংগ্রেসে সমর্থন করছেন। তাই তাঁর কাউন্সিলর পদ প্রশ্নসাপেক্ষ বলে দাবি করেন সুরেশ আগরওয়াল। মহকুমাশাসকের দফতরে শুনানি হয়। শীলার কাউন্সিলর পদ বাতিলও ঘোষণা করেন তিনি। এরপর আবারও নতুন করে মামলা হয়।