SIR: রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে আসছে ফোন? জেলাশাসকদের বরাভয় মুখ্যমন্ত্রীর
SIR In WB: সোমবার মুখ্যসচিবের সঙ্গে প্রত্যেক জেলাশাসকের একটি বিশেষ বৈঠক ছিল। সেটা উন্নয়নমূলক বৈঠক ছিল। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি যোগদান করেন। জানা যাচ্ছে, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি নির্বাচন কমিশনের নাম না করে বলেন, রাজ্য সরকারেরই এক অফিসারকে স্পেশ্যাল রোল অফিসার হিসাবে পাঠিয়েছে।

কলকাতা: এসআইআর ইস্যুতে এবার জেলাশাসকদের বরাভয় মুখ্যমন্ত্রীর। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন। তাঁর বক্তব্য, দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জেলাশাসকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। প্রাক্তন অফিসারকে বিশেষ পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হয়েছে। রাত ৯টার পর ফোন করে অফিসারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। জেলাশাসকদের আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই সূত্র মারফত খবর।
সোমবার মুখ্যসচিবের সঙ্গে প্রত্যেক জেলাশাসকের একটি বিশেষ বৈঠক ছিল। সেটা উন্নয়নমূলক বৈঠক ছিল। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি যোগদান করেন। জানা যাচ্ছে, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি নির্বাচন কমিশনের নাম না করে বলেন, রাজ্য সরকারেরই এক অফিসারকে স্পেশ্যাল রোল অফিসার হিসাবে পাঠিয়েছে। রাত হলেই তাঁরা ফোন করে বদলি কিংবা সাসপেন্ড করে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে। জেলাশাসকরা যাতে কোনওভাবেই ভয় না পান, তার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রত্যেক জেলাশাসকের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন।
উল্লেখ্যে, সুব্রত গুপ্তের নাম না করেই জেলাশাসকদের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। রেকর্ড বলছে, সুব্রত গুপ্ত যখন বাংলায় IAS অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব একটা ভাল সম্পর্ক ছিল না। আবার, সুব্রত গুপ্তকেই এসআইআর-এর ‘স্পেশ্যাল রোল অফিসার’ হিসাবে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সুব্রত গুপ্তের নাম না করে মুখ্য়মন্ত্রী জেলাশাসকদের উদ্দেশে বলেন, কাজের চাপ রয়েছে, অনেক ধরনের চাপ রয়েছে। তা সত্ত্বেও উন্নয়নের কাজে যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে।
নির্দিষ্ট করে একটি সময়ের কথাও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, রাত ৯টা থেকে ১১ টার মধ্যে ফোন করে ভয় দেখানো হচ্ছে।
যদিও এই নিয়ে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরাও এই ধরনের খবর সূত্র মারফত পাচ্ছিলাম যে মুখ্যমন্ত্রী এসআইআর প্রভাবিত করার জন্য জেলাশাসক-সহ অনান্য অফিসারদের এই ধরনের কথা বলছেন। আরও এক ধাপ এগিয়ে যে কাজ করলেন, তা বিরল। এটা যদি সত্যি হয়, এসআইআর নিরপেক্ষ হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকল না। এসআইআর-কে প্রভাবিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেন।”
