SSC OMR Sheet: কোন ‘জাদুবলে’ ৩ হয়ে গেল ৫৩? OMR শিট মামলায় রিপোর্ট জমা দিল CBI
SSC Recruitment: প্রার্থীদের নম্বর বদল কার হাত দিয়ে? তার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
কলকাতা: নবম-দশমের নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, সেই মামলার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বেআইনিভাবে সুপারিশ করা প্রার্থীদের ওএমআর শিট প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা একাধিক উত্তরপত্রে দেখা গিয়েছে, কোনও কোনও প্রার্থী একটিও প্রশ্নের উত্তর দেননি। নাম, রোল নম্বর বাদে, কার্যত সাদা খাতাই জমা দেওয়া হয়েছে। নমব-দশমের সেই ওএমআর শিট (OMR Sheet) জালিয়াতির মামলায় বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।
প্রার্থীদের নম্বর বদল কার হাত দিয়ে? তার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। কীভাবে নম্বর বদলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল তারই বিবরণ দিয়ে রিপোর্ট জমা পড়েছে এদিন। কয়েকদিন আগেই আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ওএমআর শিটের নম্বর বদল হয়েছে। এমন প্রমাণও পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এরপরই সেই তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল।
তদন্তে দুটি মাদার ডিস্ক পেয়েছিল সিবিআই। একটি এসএসসি-র দফতর থেকে পাওয়া যায় ও অপরটি মেলে গাজিয়াবাদ থেকে। সেখান থেকেই পাওয়া যায় ওএমআর শিটের তথ্য। এর আগে এই মামলার শুনানিতে ২০ জন প্যানেলভুক্ত ও ২০ জন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীর ওএমআর শিট জমা পেশ করে সিবিআই। নম্বর বেআইনিভাবে বাড়ানো হয়েছে বলেই দাবি করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। উদাহরণ হিসেবে সিবিআই উল্লেখ করেছিল, যাঁদের প্রাপ্ত নম্বর আসলে ছিল ৫ বা ৬, সেটাই বাড়িয়ে ৫৩ বা তার বেশি করে দেওয়া হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল।’
নবম-দশমের বেআইনি নিয়োগ মামলায় প্রথমে ১৮৩ জনের নাম প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন, যাঁদের নাম বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৪০ জনের নামের সঙ্গে ওমএমআর শিটও প্রকাশ করতে হবে। এরপরই উত্তরপত্র প্রকাশ করে এসএসসি। উত্তর তো দূর, কেউ কেউ রোল নম্বরও ঠিকভাবে লেখেনি, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে।