
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেতা-মন্ত্রীদের পাশাপাশি এমন অনেকের নাম সামনে এসেছে, যাঁরা সাধারণ মানুষের কাছে সেভাবে পরিচিত ছিলেন না। তেমনই এক ব্যক্তি হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’ হিসেবেই তাঁর নাম প্রথম আসে তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। পরে তাঁকে তলবও করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এবার সেই সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে হাজির সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বেহালার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন ৬-৭ জন সিবিআই আধিকারিক। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে তাঁর বাড়ির সামনে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম সামনে এনেছিলেন গোপাল দলপতি। কুন্তল ঘোষ চাকরি বিক্রির টাকা কোথায় পৌঁছে দিতেন? এই প্রশ্নের মুখেই গোপাল দলপতি ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা বলেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, কুন্তল ঘোষ নাকি টাকা পৌঁছে দিতেন ‘কালীঘাটের কাকু’র কাছে।
পরে গোয়েন্দারা জানতে পারেন ‘কালীঘাটের কাকু’ আসলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তবে তিনি আদতে কালীঘাটের বাসিন্দা নন, বেহালার বাসিন্দা। তবে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ যে তাঁকে কাকু বলে সম্বোধন করতেন, সে কথা স্বীকার করেছিলেন তিনি। পরিচিত অনেকেই নাকি তাঁকে কাকু বলে ডাকতেন। দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে, তাঁর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর কোনও যোগ নেই। সবটা নাকি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র!
গত মার্চ মাসে সুজয়কৃষ্ণকে তলব করেছিল সিবিআই। আইনজীবীদের নিয়ে নিজাম প্যালেসেও গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। তবে সিবিআই গোয়েন্দারা কী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তা নিয়ে জল্পনা থাকলেও বেরিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। সেই সময় বেশ কিছু নথিও নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর এবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই।