কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকান্ডে সিবিআই-এর র্যাডারে আরও ৬ জন এজেন্ট। রবিবার তাঁদের নিজাম প্যালেসে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। ইতিমধ্যে এই ছ’জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন পৌঁছেছেন নিজাম প্যালেসে। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানা চেষ্টা করছেন যে সকল চাকরি প্রার্থীরা চাকরির জন্য এই এজেন্টদের টাকা দিতেন সেই টাকা নিয়ে তাঁরা কী করতেন, কাকে দিতেন। অর্থাৎ প্রথম সারির মাথা (কুন্তল ঘোষ, চন্দন মণ্ডল) এদেরকে টাকা দিতেন নাকি পিছনে আরও কোনও বড় মাপের কেউ রয়েছেন। এমনকী প্রতিটি ক্যান্ডিডেটের কাছ থেকে ঠিক কত টাকা নেওয়া হত তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা (CBI। সিবিআই সূত্রে খবর, এই টাকার লেনদেন নগদে নাকি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে হত তাও এই ছ’জনের থেকে জানার চেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার (গতকাল) ১০ জন এজেন্টকে নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়।সূত্রের খবর, এই ১০ জনের নিয়োগ ‘কেলেঙ্কারি’তে যুক্ত থাকার সপক্ষে তথ্য ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। এই এজেন্টরা বিভিন্ন জেলায় সক্রিয় ছিলেন বলেই সিবিআই সূত্রে খবর। এরপর আজ আরও ৬ জনকে তলব করা হল।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর উঠে আসছে একের পর এক তাবড় নাম। শুক্রবারই চন্দন মণ্ডলকে (এজেন্ট) গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। একইসঙ্গে আরও ৫ জন এজেন্টকেও গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাগদার চন্দন মণ্ডল, সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁর নাম ‘রঞ্জন’ নামে তুলে ধরেছিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস, তাঁকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম সারির এজেন্ট হিসাবেই মনে করছে সিবিআই। এর আগে গ্রেফতার হওয়া প্রদীপ, প্রসন্নরাও এই তালিকায় পড়েন বলেই মত তদন্তকারী সংস্থার। এরকম আরও অনেকেই রয়েছেন বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।