কলকাতা: গরুপাচার মামলার (Cow Smuggling Case) তদন্তে আরও গতি বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার তিহাড় জেলে (Tihar Jail) গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জেরা করতে চলেছে সিবিআই (CBI)। সায়গলকে জেরা করার জন্য এর আগে আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই আবেদন ইতিমধ্যেই মঞ্জুর করেছে আদালত। এখনও পর্যন্ত যা খবর, আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে যাচ্ছে সিবিআইয়ের গরু পাচার মামলার তদন্তকারী অফিসারদের বিশেষ টিম। সূত্রের খবর, কাস্টম অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের হাতে। তা নিয়েই এবার নতুন করে সায়গলকে জেরা করতে চাইছে সিবিআই।
এখনও পর্যন্ত সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে, প্রয়োজন বোধ করলে আদালতের অনুমতি নিয়ে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় ইডি-সিবিআইয়ের জোড়া তদন্তে ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠ একাধিকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল ও তাঁর হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি। এরা সকলেই বর্তমানে রয়েছেন তিহাড় জেলে।
উল্লেখ্য, গরু পাচারের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই সায়গলের ১ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সায়গলের মোট ১ কোটি ৫৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৯০ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির পাহাড় সায়গল কীভাবে বানাল, সেই রহস্যও উদ্ঘাটনের চেষ্টায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসাররা। বিশেষ করে পেশায় কনস্টেবল সায়গলের এই পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তি ঘিরে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে গোয়েন্দাদের মনে। প্রসঙ্গত, অতীতে সিবিআই তাদের চার্জশিটে উল্লেখ করেছিল, অনুব্রতর হয়ে গরু পাচারের টাকা নিত সায়গল।