রঞ্জিৎ ধর ও অভিজ্ঞান নস্করের রিপোর্ট
সল্টলেক ও বাসন্তী: এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় জীবন্ত জ্বলে মৃত্যু হয়েছে ডেলিভারি বয় সৌমেন মণ্ডলের। বুধবার বিকেলের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় সল্টলেকের কেষ্টপুর সংলগ্ন অঞ্চলে। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়, এমনকী ইট ছুড়েও মারা হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এল সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। কীভাবে একটি গাড়ির ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যু হল, তা দেখা যাচ্ছে ওই ফুটেজে।
মৃত সৌমেন মণ্ডলের দাদা দাবি করেছেন, তাঁর ভাই যখন দুর্ঘটনার মুখে পড়েন, তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছিল ও ভিডিয়ো রেকর্ড করছিল। কার্যত পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। দক্ষিণ ২৪ পগনার বাসন্তীর ছেলে সৌমেন বছর দুয়েক ধরে সল্টলেকে ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেন। দরিদ্র পরিবারে সৌমেনের রোজগার ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বাসন্তী ব্লকের হিরণ্ময়পুরের বাসিন্দা রবীন্দ্র মণ্ডলের মেজ ছেলে সৌমেন মণ্ডলের বাড়িতে আছেন তাঁর মা, দাদা ও বৌদি। সৌমেনের বাবা রবীন্দ্র মণ্ডল ও চলতি মাসের সাত তারিখে অন্ধ্রপ্রদেশে পাড়ি দিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য। গত মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছিলেন সৌমেন। কয়েকদিন বাদেই তাঁর গ্রামের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। তার আগেই এই দুর্ঘটনা।
বুধবার বিকেলে ডেলিভারির কাজেই বাইকে চেপে বেরিয়েছিলেন সৌমেন। সিসিটিভি-তে দেখা যাচ্ছে, সিগনালে দাঁড়িয়েছিল দুটি বাইক। সেই সময় একটি কালো গাড়ি সোজা গিয়ে দুটি বাইককে ধাক্কা মেরে রেলিং ভেঙে ফুটপাথে উঠে যায়। দুর্ঘটনার জেরেই ওই গাড়িতে আগুন ধরে যায়। আর সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ায় সৌমেনের বাইকেও আগুন ধরে যায়। সৌমেন এমনভাবে রেলিং-এ আটকে গিয়েছিলেন যে তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জীবন্ত পুড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের।
রঞ্জিৎ ধর ও অভিজ্ঞান নস্করের রিপোর্ট
সল্টলেক ও বাসন্তী: এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় জীবন্ত জ্বলে মৃত্যু হয়েছে ডেলিভারি বয় সৌমেন মণ্ডলের। বুধবার বিকেলের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় সল্টলেকের কেষ্টপুর সংলগ্ন অঞ্চলে। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়, এমনকী ইট ছুড়েও মারা হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এল সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। কীভাবে একটি গাড়ির ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যু হল, তা দেখা যাচ্ছে ওই ফুটেজে।
মৃত সৌমেন মণ্ডলের দাদা দাবি করেছেন, তাঁর ভাই যখন দুর্ঘটনার মুখে পড়েন, তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছিল ও ভিডিয়ো রেকর্ড করছিল। কার্যত পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। দক্ষিণ ২৪ পগনার বাসন্তীর ছেলে সৌমেন বছর দুয়েক ধরে সল্টলেকে ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেন। দরিদ্র পরিবারে সৌমেনের রোজগার ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বাসন্তী ব্লকের হিরণ্ময়পুরের বাসিন্দা রবীন্দ্র মণ্ডলের মেজ ছেলে সৌমেন মণ্ডলের বাড়িতে আছেন তাঁর মা, দাদা ও বৌদি। সৌমেনের বাবা রবীন্দ্র মণ্ডল ও চলতি মাসের সাত তারিখে অন্ধ্রপ্রদেশে পাড়ি দিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য। গত মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছিলেন সৌমেন। কয়েকদিন বাদেই তাঁর গ্রামের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। তার আগেই এই দুর্ঘটনা।
বুধবার বিকেলে ডেলিভারির কাজেই বাইকে চেপে বেরিয়েছিলেন সৌমেন। সিসিটিভি-তে দেখা যাচ্ছে, সিগনালে দাঁড়িয়েছিল দুটি বাইক। সেই সময় একটি কালো গাড়ি সোজা গিয়ে দুটি বাইককে ধাক্কা মেরে রেলিং ভেঙে ফুটপাথে উঠে যায়। দুর্ঘটনার জেরেই ওই গাড়িতে আগুন ধরে যায়। আর সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ায় সৌমেনের বাইকেও আগুন ধরে যায়। সৌমেন এমনভাবে রেলিং-এ আটকে গিয়েছিলেন যে তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জীবন্ত পুড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের।