Mamata Banerjee: মমতার ‘মাস্টারস্ট্রোক’, কী বলছে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস?
Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বক্তব্য, "আমরা তো টাকা দেওয়ার বিরোধী নই। চোরেদের জেলে যাওয়ার পক্ষে আমরা। যারা ১০০ দিনের কাজ না করে, পুকুর না কেটে লুঠ করল হাজার হাজার কোটি টাকা আমরা তাদের জেলে দেখতে চাই। সেই কারণে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলা হয়েছিল। একটা পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি করেছিল বকেয়া আদায়ের দাবিতে, আরেকটা বিজেপির পক্ষে আমি করেছিলাম বিরোধী দলনেতা হিসাবে।"
কলকাতা: ২১ ফেব্রুয়ারি ২১ লক্ষ শ্রমিককে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেবে রাজ্য সরকার। শনিবারই রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে এ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ঘোষণাকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এভাবে টাকা দিতে পারেন না। শুভেন্দুর বক্তব্য, “আমরা তো টাকা দেওয়ার বিরোধী নই। চোরেদের জেলে যাওয়ার পক্ষে আমরা। যারা ১০০ দিনের কাজ না করে, পুকুর না কেটে লুঠ করল হাজার হাজার কোটি টাকা আমরা তাদের জেলে দেখতে চাই। সেই কারণে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলা হয়েছিল। একটা পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি করেছিল বকেয়া আদায়ের দাবিতে, আরেকটা বিজেপির পক্ষে আমি করেছিলাম বিরোধী দলনেতা হিসাবে।” শুভেন্দু জানান, সেই মামলায় পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি চেয়েছিল টাকা দিয়ে দেওয়া হোক। আর তিনি চেয়েছিলেন সিবিআই তদন্ত করে ভুয়ো আর আসলকে বাছাই করতে।
বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের দাবি, এটা কেন্দ্রেরই টাকা। সেটাই ঘুরিয়ে বলা হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “ক্যাগ (CAG) বলেছে ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের থেকে এসেছে বিভিন্ন সময়ে। তার কোনও হিসাব রাজ্য দেয়নি। এমার্জেন্সি ফান্ডেরও কয়েক হাজার কোটি টাকার হিসাব নেই। সেগুলি গেল কোথায়? ভোটবাক্স এত সহজে যায় না। আর ওনার কাছে যদি টাকা ছিল তা আগেই দিয়ে দিতে পারতেন।”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, “এটা ভোটের আগে একটা ঢপের কীর্তন হবে। বলবেন, দেখুন ১০০ দিনের কাজে আমি কত বড় আন্দোলন করছি। আরে কলকাতা তো টাকা দেবে না। যদি সত্যি টাকা আদায় করতে হয় চলুন দিল্লি। সেখানে গিয়ে অনশন করুন। আমার দাবি এটা আপনার কাছে।” একই সুর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীরও। তাঁর দাবি, “তার মানে ওনার কাছে টাকাটা জোগাড় করা আছে। তাহলে এতদিন দিলেন না কেন? ভোটের সময় মনে পড়েছে এটা?”