মালদা: আগামী ১ মার্চ থেকে খোলা বাজারেও করোনার টিকা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরই বুধবার বিশ্বের পয়লা নম্বর ভ্যাকসিন প্রস্তুতাকারী সংস্থা সিরাম ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিনের দাম প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে যে দামে ভ্যাসকিন বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে বিরাট ফারাক দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে এ বার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠিও তিনি দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এ দিন অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে করোনা নিয়ে এ দিন প্রথম বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে ভ্যাকসিনের দামে তারতম্যের কথা উল্লেখ করে ক্রুদ্ধ কণ্ঠস্বরে জানতে চান, “এটা কি ব্যবসা করার সময়?” ভ্যাকসিনের দামের প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “আমি কতগুলো টুইট দেখেছি। যেটা কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৫০ টাকায় দেওয়া হত সেটা রাজ্যকে দেওয়া হবে ৪০০ টাকায়। এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৬০০ টাকা। এটা করবে কেন?” ভ্যাকসিনের দামের ক্ষেত্রে কোনও ভেদাভেদ থাকা উচিত নয় বলেই এ দিন মন্তব্য করেন মমতা।
তিনি আরও বলেন, “এখন এমন একটা সময় যখন এটার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তখন মানুষকে সাহায্য দেওয়া উচিত না ব্যবসা করা উচিত? এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেও একট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনগণের উপর সবটা ছেড়ে দিলে তো আর হবে না।”
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের জন্য রাজ্যে ১০০ কোটির ফান্ড, কেন্দ্রের কাছে ১ কোটি ডোজ চাইলেন মমতা
এর পাশাপাশি রাজ্যে টিকাকরণের জন্য ১০০ কোটির একটি আপাতকালীন ফান্ড তৈরির কথাও ঘোষণা করেন মমতা। পাশাপাশি অবিলম্বে ১ কোটি ভ্যাকসিনের আবেদন জানান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। মমতা জানান, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৯৩ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। আগামী সময় ভ্যাকসিন খোলা বাজারে চলে এলে রাজ্য তা কিনে নেবে।
আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মদন মিত্র ভাল আছেন, জানালেন চিকিৎসকরা