কলকাতা: রবিবার রাতে ক্যাথিড্রাল অব মোস্ট হোলি দ্য রোজারি যা পর্তুগিজ চার্চ নামে পরিচিত, সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রেবোর্ন রোডের উপর এই চার্চ। ১৭৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই চার্চ। প্রতি বছরই এখানে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। মাতা মেরি ও যিশু খ্রিস্টকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর চার্চের ভিতরে ঢুকে প্রার্থনা করেন তিনি।
বছর শেষের উৎসব। ক্রিসমাস ইভ থেকে শুরু করে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত শুধুই হইহই। বড়দিনের আগের সন্ধ্যা, তাতে আবার রবিবার, কার্যত জনসমুদ্র পার্ক স্ট্রিট। অ্যালেন পার্কের সামনে তিল ধারণের জায়গাটুকুও নেই। ক্রিসমাস ইভ পালনে মেতে উঠেছে শহরবাসী। একদিকে আলোর খেলা, অন্যদিকে কেক-পেস্ট্রি-ওয়াইনের গন্ধে বুঁদ পথঘাট। সন্ধ্যা থেকেই বাস, মেট্রোয় থিক থিক করছে মানুষের ভিড়।
মাঝপথে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলা থেকে শুরু করে জমিয়ে আড্ডায় মেতেছে তিলোত্তমা। কেউ কেউ তো বলছেন, পার্ক স্ট্রিট না এলে নাকি ক্রিসমাস অসম্পূর্ণ। রাত ১২টা বাজলেই চার্চে চার্চে শুরু হবে প্রার্থনা। ক্রিসমাস ক্যারলে ভাসবে মধ্যরাতের শহর।
পার্ক স্ট্রিটে সঙ্গীকে নিয়ে এসেছেন এক তরুণী। বলেন, “পার্ক স্ট্রিট এতটাই বিখ্যাত যে কলকাতার যে প্রান্তেই মানুষ থাকুক না কেন পার্ক স্ট্রিটে আসতেই হবে। না হলে ক্রিসমাসটা অসম্পূর্ণ। অন্য প্ল্যান করেও শেষ মুহূর্তে এখানে হাজির হই। এত আলো, এত মানুষ, সকলে উৎসব উন্মাদনায় ভাসছে। এটার জন্যই আসতে হয়।”