
কলকাতা: মহেশতলা পুরসভা ও পুজো কমিটির সঙ্গে বিবাদ। ৭২ বছরের পুজো বন্ধের অভিযোগ। এই খবর টিভি ৯ বাংলা সম্প্রচার করতেই পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন গেল বিধায়ক তথা পৌরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসের কাছে। নির্দেশ এল মাঠের তালা খুলে দেওয়ার। কারণ, ওই মাঠেই পুজো হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এলাকার কাউন্সিলরের স্বামী বলেন, “CM ম্যাডাম টেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন মাঠের তালা খুলে দিতে। আইনি জটিলতা যেমন কোর্টে চলছে তেমন চলবে, তবে পুজো মাঠেই হবে। তাই পুজোর কটা দিন এই মাঠ খোলা থাকবে।”
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ ডিপার্টমেন্টের জমিতে ৭২ বছর ধরে পুজো হয়। কিন্তু মহেশতলা পুরসভা দাবি করছে, উদ্বাস্তু বিভাগ তাদের এই জমি দিয়ে দিয়েছে। সেই কারণে এই জমিতে একটি কমিউনিটি হল তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে এই জমিজট পৌঁছে গিয়েছে কোর্টে। একক বেঞ্চ জানিয়েছে যতক্ষণ না পর্যন্ত নির্ধারণ হচ্ছে জায়গাটি কার, ততদিন পর্যন্ত পুজো যেখানে হয়ে আসছে সেখানেই হবে। এরই মধ্যে এলাকার বিধায়ক তথা চেয়ারম্যান দুলাল দাস মাঠের গেটে তালা বন্ধ করে দেন। যার জেরে থমকে যায় পুজোর কাজ। পুজো উদ্যোক্তা শিবপ্রসাদ দাস টিভি ৯ বাংলাকে জানান, “এটা ৭২ বছরের পুজো। অথচ পুরসভা পুজো করতে দিচ্ছে না। এখানে ওরা কমিউনিটি হল করতে চায়। এই নিয়ে কেস চলছে। এই নিয়ে মামলাও হয়েছে। গত ৮ তারিখ চেয়ারম্যান গেটে তালা দিয়ে গেছে। এখন বলছে পরবর্তী কোর্টের শুনানি অবধি অপেক্ষা করতে।” অপরদিকে, দুলাল দাস বলেন, “এই জায়গাটি আর.আর ডিপার্টমেন্টের। তারা পৌরসভাকে দায়িত্ব দিয়েছে। পৌরসভা এখানে চাইছে কমিউনিটি হল তৈরি করতে। কিন্তু পুজো উদ্যোক্তারা বাধা দিচ্ছে।”
এ দিকে, মাঠে তালা পড়তেই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায় পুজো। সেই খবর সম্প্রচার করে টিভি ৯ বাংলা। আর তারপরই বিষয়টি জানতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন যে এই পুজো হবে।