Coal Scam Case: অবশেষে বিকাশ মিশ্রকে হাতে পেল সিবিআই, নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আসানসোলে
CBI: যদিও নিজাম প্যালেসে ঢোকেননি বিকাশ। গাড়িতেই বসেছিলেন। গাড়ির সিটে একেবারে এলিয়ে পড়েছিলেন।
কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে ধৃত বিকাশ মিশ্রকে হেফাজতে নিল সিবিআই। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শনিবারই বিকাশকে আসানসোলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিন সকালেই বিকাশ মিশ্রকে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সিবিআই তাদের নিজাম প্যালেসের দফতরে নিয়ে যায়।
যদিও নিজাম প্যালেসে ঢোকেননি বিকাশ। গাড়িতেই বসেছিলেন। গাড়ির সিটে একেবারে এলিয়ে পড়েছিলেন। শরীর একেবারেই দিচ্ছে না, বিকাশ মিশ্রের হাবেভাবে সে কথাই ফুটে উঠছিল। সেখান থেকেই আসানসোলের উদ্দেশে রওনা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এদিনই আসানসোলে সিবিআই বিশেষ আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
কে এই বিকাশ মিশ্র?
কয়লাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজির টাকা যিনি প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছে দিতেন বলে অভিযোগ সেই বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ। সিবিআই প্রথম থেকেই বলে এসেছে, কয়লার ‘কালো’ টাকা কলকাতার প্রভাবশালীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া কিংবা প্রভাবশালীদের একাংশের টাকা কীভাবে এই কয়লার ব্যবসায় ঢুকেছে তার পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতেন ‘মিশ্র ভ্রাতৃদ্বয়’। বিনয় ও বিকাশের একাধিক ভুয়ো ব্যবসা রয়েছে বলেও অভিযোগ। সেই ব্যবসাতেও এই কয়লার টাকা খাটানো হতো বলেই জানতে পেরেছে সিবিআই। সেই টাকার হদিশও গোয়েন্দারা পেয়েছেন। কয়েক কোটি টাকা বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। ফলে বিকাশকে হেফাজতে নিয়ে সিবিআই জেরা শুরু করতেই কেঁচোর বদলে কেউটে উঠে আসতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
কয়লাকাণ্ডে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিকাশের গ্রেফতারি
কার কাছে কোথায় কত টাকা পৌঁছেছে তার একটা স্পষ্ট তথ্য সিবিআই এবার পেতে পারে বলেই মনে করছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিকাশ মিশ্রকে গ্রেফতার কয়লা-মামলায় অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ গ্রেফতারি। কারণ, বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কয়লার দু’নম্বরি টাকা লেনদেনের সিংহভাগটাই বিকাশ দেখতেন। ভাইকে সবরকম সহযোগিতা করতেন দাদা বিনয়।
এর আগে ইডির হাতে গ্রেফতার হন বিকাশ
বিকাশ মিশ্রকে এর আগে ইডির গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেছিলেন দিল্লিতে। এক মাস তিনি জেলেও ছিলেন। এর পর সেখান থেকে জামিন পান। এদিকে এই জামিনের পর সিবিআই বিকাশকে গ্রেফতার করতে গেলে আগাম জামিনের আবেদন করেন তিনি। আসানসোল সিবিআই আদালতে তারই শুনানি ছিল বুধবার। আদালত বিকাশকে ফিরিয়ে দেন। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় তদন্তে সহযোগিতা করছে না বিকাশ মিশ্র। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা যেতে পারে।
এরপরই আদালতের নির্দেশের কপি হাতে পেতেই বিকাশকে গ্রেফতারির সমস্তরকম তোড়জোর শুরু করে সিবিআই। সেদিনই হাসপাতালের কাছে আদালতের নির্দেশের কপিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্পষ্ট তদন্তকারীরা জানিয়ে দেন, সিবিআইকে না জানিয়ে বিকাশকে ছুটি দিতে পারবে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপরই বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থাতেই গ্রেফতার করা হয় বিকাশ মিশ্রকে।