কলকাতা: ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল মহাজাতি সদনে। কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী ঢুকতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি শুরু হয় সেখানে। রীতিমতো হাতাহাতি কৌস্তভের অনুগামীদের সঙ্গে অপর গোষ্ঠীর। সূত্রের খবর, সোমবার ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি কৌস্তভকে। কিন্তু কৌস্তভও নাছোড় ছিলেন, সেখানে যাবেন। সেইমতো পৌঁছন মহাজাতি সদনে। অভিযোগ, গেটেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। এরপরই গেটের সামনে চিৎকার শুরু করেন কৌস্তভ। তারস্বরে চেঁচিয়ে বলতে থাকেন, “আমি কি দলের বাইরে? আমি কি কংগ্রেসের বাইরে? আমি কংগ্রেসের স্বার্থে লড়ছি, আমি কি দলের বাইরে?”
কৌস্তভকে বলতে শোনা যায়, দিনের পর দিন এই অপমান চলছে। কৌস্তভ সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “এখানে আমাদের ছেলেদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। দিনের পর দিন এই অপমান চলতে পারে না। আমি দলের বাইরে নই। দল থেকে আমাকে তাড়ানোর জন্য, আমি এখানে থেকে তৃণমূল বিরোধী আওয়াজ তুলি বলে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়।”
কৌস্তভের দাবি, দলের মধ্যে তৃণমূলের কিছু ‘দালাল’ রয়েছে। দলে থেকে দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন কৌস্তভ। এ জিনিস তিনি চলতে দেবেন না বলেও মন্তব্য করেন। কৌস্তভের বক্তব্য, “দলের মধ্যে থাকা তৃণমূলের চামচারা, তারা এটা ঘটিয়েছে। আমার উপর আক্রমণের পরিকল্পনা ছিল। না পেরে আমার ছেলেদের উপর হামলা করেছে। যাতে আমি রিঅ্যাক্ট করি। আমি দলের নেতৃত্বের কাছে বিচার চাইব।”
এ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, “এটা তো বিরক্ত হওয়ার মতোই। তৈরি করা স্লোগান হলে বিরক্ত তো হবেই।” এরপরই কিছুটা বিরক্তির সুর শোনা যায় প্রদেশ সভাপতির গলায়। বলেন, “আমি একজন প্রদেশ সভাপতি। আমি কী জানি এগুলো, ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে এসেছি। কে কোথাকার এসব জানা নেই আমার।”
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “প্রতিবারই চিৎকার চেঁচামেচি হয় এবারও হয়েছে। প্রতিবার থামিয়ে দিই, এবারও দিয়েছি। সকলে সংগঠনের জয়ধ্বনি করতে করতে ফিরে গিয়েছে। এটা আবেগ। বাকি যা জিজ্ঞাসার ছাত্র পরিষদকে জিজ্ঞাসা করুন।”