কলকাতা: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে শনিবার কলকাতার রাজপথে নামে কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা (Congress Protest)। দফায় দফায় কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকদের বিক্ষোভ চলে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। এদিন বিকেলে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। কংগ্রেসের ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভ সামাল দিতে প্রস্তুত ছিল পুলিশও। পুলিশের তরফে রাজভবনের সামনে ব্যারিকেড ও গার্ডরেল প্রস্তুত রাখা হয়েছিল মিছিল আটকানোর জন্য। সেই গার্ডরেল টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কংগ্রেসের ছাত্র-যুবরা। আর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশও ব্যবস্থা নেয়। মুহূর্তের মধ্যেই পুলিশের তরফে বেশ কয়েকজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পরিস্থিতিও তৈরি হয়।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী কংগ্রেসের ছাত্র-যুব নেতা ও কর্মীদের বক্তব্য, ‘রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করছে বিজেপি। এর বিরুদ্ধে আমরা রাজভবন অভিযান করছি। বিজেপির এই হিটলারি শাসন আমরা মানব না। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যা পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তার প্রতিবাদে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করব।’
এদিন বিকেলে কংগ্রেস কর্মীদের একাংশ পুলিশের গার্ডরেল টপকানোর চেষ্টা করতেই পুলিশ তাঁদের পাকড়াও করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। সেই সময় কংগ্রেসের ছাত্র নেতা সৌরভ প্রসাদকেও প্রিজন ভ্যানে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। তখনই পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠে। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের দিকে তেড়ে যান সৌরভ। কিছু বলার চেষ্টা করেন তাঁদের। কিছুটা ধস্তাধস্তির পরিস্থিতিও তৈরি হয় সেখানে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ আবার তাঁকে পাকড়াও করে প্রিজন ভ্যানে তোলে। জানা যাচ্ছে, আটক কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের কর্মীদের প্রিজন ভ্যানে করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে এদিন দেশজুড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল কংগ্রেস শিবির। প্রতিবাদে আঁচ এসে পড়েছে কলকাতাতেও। আর সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরেই শনিবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হল রাজভবন চত্বর।