ভিডিয়ো: দেশের সেরা তালিকায় ৪ নম্বরে JU, ক্যাম্পাসে মিলছে ভূরি ভূরি বিয়ার-কাফ সিরাপের বোতল!

Susovan Bhattacharya | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 14, 2023 | 6:57 PM

JU Student death: বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক পড়ুয়াই বললেন, "বাইরের অনেক ছেলেপুলে চলে আসে। তারাই মদ খায়। এখানে ক্যাম্পাসের ছেলেমেয়েরা যত না থাকে। বাইরের লোকজন বেশি এসে এই কাজ করেন।"

Follow Us

কলকাতা: অভিযোগ ভূরি ভূরি। তার কিছুটা প্রমাণ ধরা পড়ল এবার ক্যামেরায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে, ডিপার্টমেন্টের পাশে যত্র-তত্র ছড়িয়ে রয়েছে বিয়ারের বোতল। শুধু বিয়ার নয়, রয়েছে কাফ সিরাপের বোতলও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক ব্যবহার নিয়ে প্রায়শই অভিযোগ ওঠে। প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা পর সেই অভিযোগ আরও একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার TV9 বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ল হোস্টেল চত্বরে যত্রতত্র ছড়িয়ে মদের-কাফ সিরাপের বোতল। ভারতের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ৪ নম্বর স্থানে থাকা যাদবপুর কীভাবে এমন হতে পারে? নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি উঠছে বহিরাগত তত্ত্বও।

বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক পড়ুয়াই বললেন, “বাইরের অনেক ছেলেপুলে চলে আসে। তারাই মদ খায়। এখানে ক্যাম্পাসের ছেলেমেয়েরা যত না থাকে। বাইরের লোকজন বেশি এসে এই কাজ করেন।” আরও এক ছাত্রী বলেন, “বহিরাগতদের দাপাদাপি এখানে দীর্ঘদিন ধরেই চলে। আইডি কার্ড দেখে ঢোকাতে হবে এই সিস্টেম নেই। সবাই অবাধে ঢুকছে। তাই কে করছে বুঝতে পারি না।” কলা বিভাগের এক পড়ুয়া বলেন, “ক্যাম্পাসের লোকজন যত না, বেশি বাইরের লোকজন আসে।”

শি৭াঙ্গনের চিত্র

যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই একাংশ মানছেন বহিরাগতদের দাপাদাপির কথা। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে নজরদারি নিয়ে। রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যখন সিসিটিভি লাগানো থাকে। তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনও সিসি ক্যামেরা। সম্প্রতি পড়ুয়ার মৃত্যুর পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ পড়ুয়ার মন্তব্য সিসি ক্যামেরা লাগানো মানে তাঁদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন এখানেই, যদি ক্যামেরা না থাকে তাহলে বহিরাগতদের আটকানো যাবে কী করে?

SFI নেত্রী শিল্পী আফরিন বলেছেন, “অপরাধকে ঠেকানোর জন্য ক্যাম্পাসে যা যা গঠনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেগুলো আমরা অবশ্যই করছি। কিন্তু আমরা সিসিটিভি বসানোর বিরোধিতা করি। একজন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তার জন্য অপরাধীরা শাস্তি পাক। কিন্তু তদন্তের মোড় ঘোরাতে যেভাবে আমাদের উপর নজরদারি রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে তার নিন্দা জানাই।” আবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া বলেন, “আমাদের তো কোনও সমস্যা হয় না সিসিটিভি ক্যামেরায়। উল্টে সুবিধা হয়। আমরা হস্টেলে সুরক্ষিত। সেখানে সুপারদের সারপ্রাইজ ভিজিট হয়।”

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ‘হোক কলরব’ আন্দোলন চলাকালীন যাদবপুরের প্রতিবাদকে নেশাখোরদের আন্দোলনের তকমা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে সেই সময় তুমুল গণ্ডগোল হয়। অভিষেক সেদিন ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন “মদ, গাঁজা, চরস বন্ধ। তাই কি প্রতিবাদের গন্ধ?” অভিষেকের বিরুদ্ধে সেই সময় সরব হয়েছিলেন পড়ুয়ারা। সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে অনেকগুলি বছর। তবে যাদবপুর রয়েছে যাদবপুরেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপাদাপি বহিরাগতদের। নেই সিসিটিভি। চারিদিকে মদ-গাঁজা পড়ে। সদ্য পড়ুয়ার মৃত্যুর পর পুনরায় সেই প্রশ্ন মাথা চাড়া দিচ্ছে কবে ফিরবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শৃঙ্খলতা?’

 

কলকাতা: অভিযোগ ভূরি ভূরি। তার কিছুটা প্রমাণ ধরা পড়ল এবার ক্যামেরায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে, ডিপার্টমেন্টের পাশে যত্র-তত্র ছড়িয়ে রয়েছে বিয়ারের বোতল। শুধু বিয়ার নয়, রয়েছে কাফ সিরাপের বোতলও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক ব্যবহার নিয়ে প্রায়শই অভিযোগ ওঠে। প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা পর সেই অভিযোগ আরও একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার TV9 বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ল হোস্টেল চত্বরে যত্রতত্র ছড়িয়ে মদের-কাফ সিরাপের বোতল। ভারতের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ৪ নম্বর স্থানে থাকা যাদবপুর কীভাবে এমন হতে পারে? নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি উঠছে বহিরাগত তত্ত্বও।

বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক পড়ুয়াই বললেন, “বাইরের অনেক ছেলেপুলে চলে আসে। তারাই মদ খায়। এখানে ক্যাম্পাসের ছেলেমেয়েরা যত না থাকে। বাইরের লোকজন বেশি এসে এই কাজ করেন।” আরও এক ছাত্রী বলেন, “বহিরাগতদের দাপাদাপি এখানে দীর্ঘদিন ধরেই চলে। আইডি কার্ড দেখে ঢোকাতে হবে এই সিস্টেম নেই। সবাই অবাধে ঢুকছে। তাই কে করছে বুঝতে পারি না।” কলা বিভাগের এক পড়ুয়া বলেন, “ক্যাম্পাসের লোকজন যত না, বেশি বাইরের লোকজন আসে।”

শি৭াঙ্গনের চিত্র

যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই একাংশ মানছেন বহিরাগতদের দাপাদাপির কথা। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে নজরদারি নিয়ে। রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যখন সিসিটিভি লাগানো থাকে। তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনও সিসি ক্যামেরা। সম্প্রতি পড়ুয়ার মৃত্যুর পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ পড়ুয়ার মন্তব্য সিসি ক্যামেরা লাগানো মানে তাঁদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন এখানেই, যদি ক্যামেরা না থাকে তাহলে বহিরাগতদের আটকানো যাবে কী করে?

SFI নেত্রী শিল্পী আফরিন বলেছেন, “অপরাধকে ঠেকানোর জন্য ক্যাম্পাসে যা যা গঠনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেগুলো আমরা অবশ্যই করছি। কিন্তু আমরা সিসিটিভি বসানোর বিরোধিতা করি। একজন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তার জন্য অপরাধীরা শাস্তি পাক। কিন্তু তদন্তের মোড় ঘোরাতে যেভাবে আমাদের উপর নজরদারি রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে তার নিন্দা জানাই।” আবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া বলেন, “আমাদের তো কোনও সমস্যা হয় না সিসিটিভি ক্যামেরায়। উল্টে সুবিধা হয়। আমরা হস্টেলে সুরক্ষিত। সেখানে সুপারদের সারপ্রাইজ ভিজিট হয়।”

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ‘হোক কলরব’ আন্দোলন চলাকালীন যাদবপুরের প্রতিবাদকে নেশাখোরদের আন্দোলনের তকমা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে সেই সময় তুমুল গণ্ডগোল হয়। অভিষেক সেদিন ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন “মদ, গাঁজা, চরস বন্ধ। তাই কি প্রতিবাদের গন্ধ?” অভিষেকের বিরুদ্ধে সেই সময় সরব হয়েছিলেন পড়ুয়ারা। সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে অনেকগুলি বছর। তবে যাদবপুর রয়েছে যাদবপুরেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপাদাপি বহিরাগতদের। নেই সিসিটিভি। চারিদিকে মদ-গাঁজা পড়ে। সদ্য পড়ুয়ার মৃত্যুর পর পুনরায় সেই প্রশ্ন মাথা চাড়া দিচ্ছে কবে ফিরবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শৃঙ্খলতা?’

 

Next Article