
কলকাতা: ভুয়ো জন্মের সার্টিফিকেট বানানোর অভিযোগ উঠেছিল। এবার আর জন্মের সার্টিফিকেট নয়, ভুয়ো মৃত্যুর সার্টিফিকেটে নাম জড়াল গোসাবার পাঠানখালি পঞ্চায়েতের। ভাড়া করা দোকানের দখল নিতে ভুয়ো মৃত্যুর সার্টিফিকেট বানানোর অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের জালে এক দম্পতি। পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার পাঠানখালি পঞ্চায়েত থেকে এই ভুয়ো মৃত্যুর শংসাপত্র বানানো হয়েছিল। তারপরই ভুয়ো নথি ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার দম্পতি। অভিযুক্তদের নাম জর্জ ক্লিন্টন ডিকসন ও তাঁর স্ত্রী ক্যারল এরিকসন ডিকসন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর আগে এজেসি বোস রোডের একটি দোকান ভাড়া নিয়েছিলেন সরল রায় ও নিত্যরঞ্জন ঘোষ। তাঁদের থেকে সাব টেনেন্ট হিসেবে দোকান ভাড়া নেন ডিকসন দম্পতি। এরপর সেই দোকানের দখল নিতে নিত্যরঞ্জনের ভুয়ো মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরির অভিযোগ ডিকসন দম্পতির বিরুদ্ধে। পুলিশের আরও দাবি, ২০১৪ সালে নিত্যরঞ্জন মারা গিয়েছেন বলে তথ্য দেন তাঁরা। তারপর দোকানের দখল নিতে পাঠানখালি থেকে ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে ভুয়ো মৃত্যুর শংসাপত্র বানানো হয়।
পাঠানখালি পঞ্চায়েতের চুক্তিভিত্তিক কর্মী গৌতম সর্দারের মাধ্যমে ওই ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করেন এই দম্পতি। এই গৌতম সর্দার বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আগেই পাঠানখালি পঞ্চায়েত থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভুয়ো জন্মের শংসাপত্র এবং ৫১০ টি ভুয়ো মৃত্যুর শংসাপত্র তৈরি করে দেওয়ার তথ্য আগেই সামনে এসেছিল। যার মধ্যে নিত্যরঞ্জনের নামে শংসাপত্র তৈরি করা হয় বলেই তদন্তকারীদের দাবি।