CPIM Rally: ভোটে জিতল কংগ্রেস, হারল বিজেপি, আর মিছিল করল CPIM! ব্যাপারটা কী?

Susovan Bhattacharya | Edited By: Soumya Saha

May 13, 2023 | 11:35 PM

Karnataka Assembly Election: জিতল তো কংগ্রেস, তাহলে সিপিএমের কেন মিছিল? প্রশ্ন করতেই সুজনবাবুর বক্তব্য, 'হারল তো বিজেপি। কে জিতল সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ কে হারল।'

CPIM Rally: ভোটে জিতল কংগ্রেস, হারল বিজেপি, আর মিছিল করল CPIM! ব্যাপারটা কী?
বামেদের মিছিলে সুজন চক্রবর্তী

Follow Us

কলকাতা: কর্নাটকে (Karnataka Elections 2023) বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে কংগ্রেস। আর তারপরই শনিবার সন্ধেয় কর্নাটকবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল বের করল সিপিএম (CPIM)। মুকুন্দপুর এলাকায় শনিবার সন্ধেয় সিপিএমের যাদবপুর পূর্ব এরিয়া কমিটির ওই মিছিলের সামনের সারিতে হাঁটলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। কর্নাটকে বিজেপি হারল। কংগ্রেস জিতল। আর কলকাতায় মিছিল করছে সিপিএম? ব্যাপারটা কি? কংগ্রেসের জয়ে এতটাই উচ্ছ্বসিত বামেরা? সুজন চক্রবর্তী অবশ্য, কংগ্রেসের জয়ের থেকেও বিজেপির হারকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। জিতল তো কংগ্রেস, তাহলে সিপিএমের কেন মিছিল? প্রশ্ন করতেই সুজনবাবুর বক্তব্য, ‘হারল তো বিজেপি। কে জিতল সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ কে হারল।’

এর পাশাপাশি সাম্প্রতিককালে বিজেপি কোথায় কোথায় ভোট ময়দানে ধাক্কা খেয়েছে, সেই খতিয়ানও তুলে ধরেন সুজন চক্রবর্তী। বললেন,  ‘হিমাচলে, দিল্লি কর্পোরেশনে, সিমলা কর্পোরেশনে বিজেপি হেরেছে। লোকসভা উপনির্বাচনগুলিতে হেরেছে বিজেপি। কর্নাটকে প্রধানমন্ত্রী রোজ যাতায়াত করেছেন, তারপরও বিভাজনের শক্তিকে হারিয়েছে কর্নাটকের মানুষ। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর লড়াইয়ে এটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’

কিন্তু তাই বলে কংগ্রেসের জয়ে সিপিএমের মিছিল? একটি দলের জয়ে অন্য দলের মিছিল, এমন উদাহরণ কি আগে রয়েছে কখনও? সুজনবাবু অবশ্য বলছেন, ‘উদাহরণ হয়ে থাকলে তো সেটা ভাল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হতে হয়। একটি সাম্প্রদায়িক কর্পোরেট আঁতাত কাজ করছে। এটা খুব বিপজ্জনক। এর বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হওয়া উচিত।’

প্রসঙ্গত, এদিন কর্নাটকের ভোটের ফলাফল নিয়ে বামেরা মিছিল করলেও, সেই মিছিলে শুধু লাল পতাকা। কংগ্রেসের কোনও পতাকা সেই মিছিলে দেখা গেল না। কংগ্রেসের লোকেরা কেন পা মেলাল না বামেদের এই মিছিলে? প্রশ্ন করায় সুজনবাবু বলেন, ‘এটা তো চটজলদি বৈঠক করে এই কর্মসূচি করা হয়েছে। এই রাস্তায় হয়ত খুব একটা নেই। কিন্তু আবার অনেক জায়গায় থাকতেও পারে। মুর্শিদাবাদ-মালদায় হলে নিশ্চয়ই কংগ্রেসও থাকবে।’ সুজনবাবুর বক্তব্য, কর্নাটকের এই ফলাফলে আসলে মানুষের লড়াই অক্সিজেন পেল।

Next Article