কলকাতা: সাতসকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অ্যাকশন। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। তবে সন্দেশখালির ঘটনার পর ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানরা আটঘাঁট বেঁধেই ময়দানে নেমেছিলেন। সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে ছিল ঢাল, লাঠি, হেলমেট, টিয়ার সেল। বিবেকানন্দের বাড়িতে সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। প্রথমে অবশ্য মন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বেশ কিছুটা কথা কাটাকাটি হয় তাঁদের। গেট খুলতে দেরি হয় মিনিট কুড়ি। তাতেই সমস্যা। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যে তা মিটেও যায়। সুজির বসুর দুটি বাড়িতে দুটি দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি শুরু করেন আধিকারিকরা।
সুজিতের বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছে- খবর চাউর হতেই ভিড় জমতে শুরু করে শ্রীভূমিতে। এলাকাবাসীরাই গলির সামনে ভিড় করেন। ভিতরে তখন কী চলছে, তা বোঝার উপায় নেই। তবে বাইরে তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের কড়া নিরাপত্তা। বেলা সাড়ে এগারোটার কিছু পর। এরপর হঠাৎ করেই বাহিনীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে সুজিতের বাড়ির সামনে।
সুজিত বসুর বাড়ির সামনে আরও সিআরপিএফ জওয়ান আসেন। সন্দেশখালির ঘটনার পর থেকে শিক্ষা নিয়েছে সিআরপিএফ। সন্দেশখালিতে যে ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন জওয়ানরা, সেখানে কিছু একটা সমন্বয়ের অভাব ছিল বলে সিজিও কমপ্লেক্সে আধিকারিকদের বৈঠকের কাটাছেঁড়ায় উঠে এসেছে। সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দেন ইডি ডিরেক্টর রাহুল নবীন। তারপর এই বিষয়টির ওপর বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে সিআরপিএফ। এই মুহূর্তে গোটা এলাকা টহল দিচ্ছেন সিআরপিএফের আধিকারিকরা। কোথাও যাতে কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে।