
কলকাতা: জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যেই ফের দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে বাংলায়। হাওয়া অফিসের তরফে আগেই জানান হয়েছে সে কথা। সপ্তাহ ঘুরলেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক প্রান্তে রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। আবহাওয়া দফতর বলছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল তা ইতিমধ্যেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। রবিবারই তা গভীর নিম্নতাপের রূপ নেবে। তারপর ধীরে ধীরে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে চলে আসবে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায়। তারপরই তা ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে।
ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার পর তার অভিমুখ যদিও থাকবে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে। ইতিমধ্যেই এর নামকরণও হয়ে গিয়েছে। থাইল্যান্ড নাম দিয়েছে মান্থা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এর ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ পা রাখবে স্থলভাগে। ল্যান্ডফলের সময় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে ঠিক কোন জায়গায় এর ল্যান্ডফল হতে পারে তা নিয়ে কিছুটা হলেও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে দুর্যোগের আবহে উত্তাল থাকবে সমুদ্র। সে কারণেই ২৮ অক্টোবর থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যার ইতিমধ্যেই মাছ ধরতে ভিতরে চলে গিয়েছেন তাঁদের উপকূলে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। মঙ্গলবার আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। এই সব জেলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাসেরও দেখা মিলতে পারে। মঙ্গলবার বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। বুধবার হাওড়ার পাশাপাশি দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে। বৃষ্টি হলেও তা কিন্তু হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।