কলকাতা: আশঙ্কাই সত্যি হল। তীব্র ঘূর্ণিঝড় রূপেই স্থলভাগে ঢুকল রেমাল। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ শেষ হয় ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ, সোমবার সকালে বাংলাদেশের বুকে কিছুটা শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তবে দুর্যোগ থেকে নিস্তার নেই এত সহজে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে আজ দিনভর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে একাধিক জেলায়।
রবিবার মধ্যরাতে সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা ছিল ঘূর্ণিঝড় রেমালের। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের প্রাদেশিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানান, রবিবার রাতে দু’ঘন্টা ধরে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলে রেমালের। রবিবার রাত সাড়ে দশটা থেকে ২৭ মে, সোমবার রাত সাড়ে বারোটার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ল্যান্ডফল করে। বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও সাগর দ্বীপের মাঝে মোংলা বন্দরের দক্ষিণ পশ্চিমে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ল্যান্ডফল করে। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ১৩৫ কিলোমিটার।
ল্যান্ডফলের পর প্রাথমিকভাবে কিছুটা উত্তর দিকে এগোলেও, তারপর উত্তর-পূর্ব দিকে গতিপথ পরিবর্তন করবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সোমবার সকালেও ঘূর্ণিঝড় হিসেবে থাকবে সিস্টেম। তারপর অতি গভীর নিম্নচাপ হয়ে ক্রমশ উত্তর-পূর্ব দিকে এগোবে।
ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে আগামী বুধবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায়। আজ নদিয়া-মুর্শিদাবাদে ব্যাুপক ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। কলকাতা ও দুই ২৪ পরগণায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে দুর্যোগ থেকে কিছুটা রেহাই পাবে দক্ষিণবঙ্গ।
অন্যদিকে, রাত থেকেই বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে। আজ, সোমবার পাহাড় ও ডুয়ার্সে লাল-কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অল্প সময়ে বেশি পরিমাণ বৃষ্টিতে পাহাড়ি নদীতে হড়পা বানের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।