কলকাতা: বুধেই বিপর্যয়। বাংলার বুকে আছড়ে পড়ার কথা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas)। কোভিডকালে রোগীদের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় সেদিকে নজরে রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরোদমে প্রস্তুত হচ্ছে হাসপাতালগুলিও।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় পিডব্লুডি, সিইএসসি ও পিএইচই-এর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ব্যবস্থা করা হয়েছে জেনারেটরের। মজুত করা হয়েছে তিনদিনের অক্সিজেন সিলিন্ডার, প্রয়োজনীয় ওষুধ। চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল চত্বর, কোভিড ওয়ার্ড চত্বর, ফার্মাসিতে জমা জলের সমস্যা মোকাবিলায় থাকছে পাম্প।
এমআর বাঙুরেও ২টি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার মজুত করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে ডিজি জেনারেটরের জন্য ডিজেল মজুত করা হয়েছে। অক্সিজেনের গাড়ি ঢুকতে যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় সে কারণে পুলিশের সঙ্গে গাড়ির রুটম্যাপ শেয়ার করবে হাসপাতাল। ঝড়ের কারণে গাছ পড়ে কিংবা জমা জলে যাতে অক্সিজেনের গাড়ি না আটকে পড়ে সেদিক মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পরে হাসপাতালেই থাকবেন পিডব্লুডি সিভিল ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের কর্মীরা। চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। এনআরএসে কোভিড ওয়ার্ডে লোডশেডিং মোকাবিলায় জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে হাসপাতাল চত্বরে থাকা অস্থায়ী পরিকাঠামো সরানো হচ্ছে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও এসএসকেএমে জল জমার একটা সমস্যা রয়েছে। এখানে একটু বেশি বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। জল ছেচে যাতে দ্রুততার সঙ্গে জল নামানো যায় তার জন্য পাম্পিং ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
*** ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় নবান্নের তরফে প্রকাশ করা হল হেল্পলাইন নম্বর। ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে যে কোনও বিপদে পড়লে ফোন করুন এই নম্বরগুলিতে ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলয়া দু’টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর, ৮৯০০৭৯৩৫০৩ এবং ৮৯০০৭৯৩৫০৪