কলকাতা: ইডিকে সন্দেশখালির ‘জামাই’ বললেন তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। বুধবার রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালানো নিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। এ দিন, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে মিলে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান গোয়েন্দারা। বাড়ির ভিতরেও প্রবেশ করেন তাঁরা। আগেরবার সন্দেশখালিতে গিয়ে যে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের এবার একদম বিপরীত ছবি ধরা পড়ল। দেবাংশুর দাবি, রাজ্যের পুলিশকে ভরসা করলে মসৃণ ভাবেই তদন্ত করতে পারবেন ইডি আধিকারিকরা।
আমরা প্রথম দিন থেকে বলে আসছি, স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করুন। আজ দেখুন, রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় কী মসৃণ ভাবে সবটা এগোচ্ছে। ইডি যেন সন্দেশখালির জামাই!
এভাবেই শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। বাংলার প্রশাসনকে ভরসা করতে শিখুন কেন্দ্রীয় সংস্থারা।
— Debangshu Bhattacharya Dev (@ItsYourDev) January 24, 2024
গত ৫ জানুয়ারি প্রথমবার শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালিতে হানা দিয়েছিল ইডি। সেইদিনের ছবিটা যদিও আজকের মতো ছিল না। সরবেড়িয়া গ্রাম যেন রাতারাতি তৈরি হয় যুদ্ধক্ষেত্রে। প্রাণ হাতে নিয়ে সেখান থেকে পালাতে হয় ইডি আধিকারিকদের। মারধর করা হয় তাঁদের। মাথা ফাটে। রেহাই পাননি সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরাও। গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে আধিকারিকদের গাড়ির কাচ ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে। প্রাণ হাতে নিয়ে পালাতে হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দাদের। ঘটনার সময় রাজ্য পুলিশ কোথায় ছিল, কী করছিল তারা আদালতে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় তাদের।
তবে আজকের চিত্রনাট্য উল্টো। সূত্রের খবর, আগে থেকেই বসিরহাট পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ কর্তাদের ইডি আধিকারিকরা জানান যে তাঁরা শাহজাহানের গ্রামে যাচ্ছেন তদন্তে। সেই মতো ‘রেডি’ থাকেন পুলিশ কর্তারা। ১২৫ জওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে সরবেড়িয়ায় পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। অপরদিকে, রাজ্য পুলিশও প্রস্তুত ছিল তাদের ‘ঢাল-তলোয়ার’ নিয়ে। কোনও রকম ঝুটঝামেলা এড়াতে প্রস্তুত ছিল র্যাফ কাঁদানে গ্যাস। এরপরই বাড়ির ভিতরে ঢোকেন আধিকারিকরা।
এ দিন কার্যত এই বিষয়টিকেই তুলে ধরেছেন দেবাংশু। তিনি লিখেছিলেন, “আমরা প্রথম দিন থেকে বলে আসছি, স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করুন। আজ দেখুন, রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় কী মসৃণ ভাবে সবটা এগোচ্ছে। ইডি যেন সন্দেশখালির জামাই!” অর্থাৎ তাঁর বক্তব্য পুলিশের উপস্থিতি ছিল বলেই এত মসৃণভাবে সবটা এগিয়েছে।