কলকাতা : রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ চরমে। একের পর এক মৃত্যুর খবর ঘুম উড়িয়েছে রাজ্যবাসীর। জেলাগুলি নিয়ে তৎপরতা বাড়াতে একদিকে যখন নবান্নে বসছে বৈঠক, তখন মশার লার্ভা মিলল খাস সরকারি হাসপাতাল চত্বরেই। বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গলি-বেসমেন্ট দেখলে বোঝার উপায় নেই যে ওটা হাসপাতাল নাকি মশাদের ঠেক! পড়ে রয়েছে পরিত্যক্ত সব পাত্র। বৃষ্টির জল জমেছে সেগুলিতে। সোমবার সকালে পুরসভার তরফে অভিযান চালাতে গিয়ে কার্যত চোখ কপালে পুরকর্মীদের। সে সব পাত্রে অবাধে জন্মাচ্ছে মশার লার্ভা। এদিকে, হাসপাতাল নিয়ে অভিযোগ শুনে এদিনই ছুটে গিয়েছিলেন কলকাতার পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। হাসপাতালে সুপারের দেখা না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিন সকালে হাসপাতাল চত্বর জুড়ে কার্যত লার্ভা-নিধন অভিযান চালান কলকাতা পুরনিগমের কর্মীরা। সেই অভিযানে দেখা যায় হাসপাতালের বেসমেন্ট, পিছনের দিকের গলিপথ, হাসপাতালের কর্মী আবাসনেও মশার লার্ভার রমরমা। কলকাতা পুরনিগমের তৈরি করা ডেঙ্গি-মানচিত্রে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত বাঘাযতীন। আর সেই রেড জোনে হাসপাতালের এমন ছবি আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রোগীদের। ওয়ার্ডের ভিতরেও মশারির মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। এমনকী হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে উত্তরোত্তর।
সোমবারই ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করেন অতীন ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপার নীলাঞ্জন দস্তিদারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডেপুটি মেয়র। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ডেঙ্গির এমন ভরা মরসুমে কেন হাসপাতালে অনুপস্থিত সুপার? স্বাস্থ্য ভবনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন বলেও উল্লেখ করেছেন ডেপুটি মেয়র। তবে তিনি জানিয়েছেন, কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মীদের দিয়ে হাসপাতাল পরিষ্কার করিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, সোমবারই ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক বসেছিল নবান্নে। মুখ্যসচিব এদিন সব জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে সূত্রের খবর।