Dhupguri MLA oath: ‘প্রথা ভেঙেছেন রাজ্যপাল’, বিধায়কের শপথে কি রাজভবনে যাবেন স্পিকার?

Dhupguri MLA oath: রাজ্যপালের শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়ে কোনও আপত্তি নেই পরিষদীয় মন্ত্রী। তবে দীর্ঘদিনের প্রথাকে সম্মান জানানোর জন্য বিধানসভায় শপথের কথা বলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

Dhupguri MLA oath: প্রথা ভেঙেছেন রাজ্যপাল, বিধায়কের শপথে কি রাজভবনে যাবেন স্পিকার?
নির্মলের শপথ ঘিরে জল্পনাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 29, 2023 | 6:54 AM

কলকাতা: অনেক বিতর্ক ও জল্পনার পর অবশেষে ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথের দিন স্থির হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবার রাজভবনে বিধায়ক শপথ নেবেন ধূপগুড়ির জয়ী প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়। রাজভবনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সে কথা জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে নির্মল রায়ের বাড়িতে। প্রথম থেকে আপত্তি থাকলেও নির্মলের শপথের বিষয়টি তৃণমূল মেনে নিয়েছে বলেই সূত্রের খবর। তাই সব ঠিক থাকলে রাজভবনে গিয়ে শনিবারই শপথ গ্রহণ করবেন পেশায় শিক্ষক নির্মল চন্দ্র। তবে রাজ্যপাল যে প্রথা ভেঙে এই কাজ করছেন, সেই বার্তা একরকম স্পষ্ট করেই দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। তাই নির্মলের শপথে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন কি না, তা নিয়ে বেড়েছে জল্পনা।

আজ শুক্রবারই কলকাতায় আসছেন নির্মল রায়। তারপর তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন স্পিকার ও পরিষদীয় মন্ত্রী। তাঁরা বিধায়কের শপথ অনুষ্ঠানে থাকবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা হবে এদিন। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ধূপগুড়ির মানুষের প্রত্যাশার কথা ভেবে তাঁরা শপথ নিয়ে আর কোনও রকম দীর্ঘসূত্রতা চান না।

পরিষদীয় মন্ত্রীর দাবি, রাজভবনে যাওয়া নিয়ে তাঁদের কোনও ছুৎমার্গ নেই। রাজ্যপালের শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়েও কোনও আপত্তি নেই। তবে দীর্ঘদিনের প্রথাকে সম্মান জানানোর জন্য বিধানসভায় শপথের কথা বলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেন। আমিও শপথ নিয়েছি, কারণ আমি ক্যাবিনেট মন্ত্রী। তবে বিধায়ক গিয়ে শপথ নিয়েছেন, এমন ঘটনা আমার রাজনৈতিক জীবনে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না।” তিনি জানিয়েছেন, বাম আমলে একবার ও সম্প্রতি আরও একবার উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। প্রতিবারই তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন স্পিকার। তাঁর কথায়, রাজ্যপাল নীতি ভাঙলে কিছু করার নেই। তবে শপথ নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা করে লাভ নেই। ধূপগুড়ির মানুষের একটা প্রত্যাশা আছে।

উল্লেখ্য, রাজভবনের যুক্তি ছিল, যেহেতু নির্মল চন্দ্র রায় রাজবংশী, তাই তাঁকে রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করালে বার্তা যাবে যে রাজভবনের দরজা সবার জন্য খোলা।