RG Kar: রাতারাতি বেড়ে গেল কার্ডিওলজি বিভাগের আসন সংখ্যা? RG kar নিয়ে ফের বিতর্ক

RG Kar: আরজি করে নতুন-পুরনো ব্যাচ মিলিয়ে হাউসস্টাফ শিপের আসন ১০৫। প্রতি বছর নতুনদের জন্য বরাদ্দ ৮৪ আসন। সাপ্লি ব্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ২১ আসন। এ বছর সেই অনুপাতে ব্যতিক্রম ঘিরেই তৈরি হয় বিতর্ক।

RG Kar: রাতারাতি বেড়ে গেল কার্ডিওলজি বিভাগের আসন সংখ্যা? RG kar নিয়ে ফের বিতর্ক
আরজি করে ফের বিতর্ক Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 29, 2025 | 7:50 PM

কলকাতা: গত বছর (২০২৪) আরজি করে তিলোত্তমার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। তারপর থেকে আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এক বছর কাটতে না কাটতেই ফের একবার আরজি কর নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে রাতারাতি কার্ডিওলজিতে হাউসস্টাফশিপের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘিরে উঠল প্রশ্ন।

বস্তুত, সন্দীপ ঘোষের আমলে কার্ডিওলজি বিভাগেই হাউসস্টাফশিপ নিয়োগে দুর্নীতি সামনে এসেছিল। মূলত এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগেই গ্রেফতার হয় আশিস পাণ্ডে। সিবিআই তদন্তের জেরে হাউসস্টাফশিপের আসনে পড়েছিল কোপ। সেই কার্ডিওলজি বিভাগেই আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ঘিরে উঠল প্রশ্ন।

আরজি করে নতুন-পুরনো ব্যাচ মিলিয়ে হাউসস্টাফ শিপের আসন ১০৫। প্রতি বছর নতুনদের জন্য বরাদ্দ ৮৪ আসন। সাপ্লি ব্যাচের জন্য বরাদ্দ থাকে ২১ আসন। এ বছর সেই অনুপাতে ব্যতিক্রম ঘিরেই তৈরি হয় বিতর্ক। সোমবার সাপ্লি ব্যাচের জন্য আসন সংখ্যা ২১ থেকে বাড়িয়ে ৩৩ করা হয়েছে। নতুন ১২টি আসন‌ই বেড়েছে কার্ডিওলজি বিভাগে।

মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ইউনিট পিছু হাউসস্টাফ থাকেন একজন। আরজি করের কার্ডিওলজিতে ১২টি ইউনিট‌ই নেই। প্রশ্ন তাহলে ১২ জন হাউস স্টাফ কেন?

সোমবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে মঙ্গলবার‌ই নিয়োগ হয়ে গিয়েছে এই ১২ আসনে। আর‌ এখানেই নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে প্রশ্ন তুলছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। নিয়োগ পদ্ধতি ঘিরে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে বলে মানছে শাসকদলের জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠন WBJDA। এ ধরনের কাজে সরকারের মুখ পুড়ছে বলে মত WBJDA’এর। স্বাস্থ্য ভবনের অনুমতি নিয়েই আসন বৃদ্ধি হয়েছে বলে দাবি।

WBJDA-এর সদস্য সৌরভ দাস বলেন,”এই বিতর্ক তৈরি হওয়ার কথা নয়। অধ্যক্ষ বলেছেন বিষয়টি নজরে রয়েছে। তাঁরাই যা বলার বলবে। যদি দুর্নীতি হয় তাহলে তার তদন্ত হবে। ” WBJDF অনিকেত মাহাতো, বলেন, “সিট বাড়ানোর আর্জি রেখেছিলাম। তবে এটা আশ্চর্য যে একটা ডিপার্টমেন্টের একটা বিভাগে বারোটা সিট। ছ’টা ইউনিট থাকলে ছ’জন হাউস স্টাফ প্রয়োজন। বাকি ছ’জন হাউস স্টাফ কী কাজ করবেন? রাতারাতি একটা ডিপার্টমেন্টে সিট কীভাবে বাড়ল? যে বিভাগে দুর্নীতি নিয়ে এত বিতর্ক হয়েছিল, সেই বিভাগেই আবার সিট বাড়ে।” MSVP সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মোট হাউসস্টাফ ছিলেন ১১৭। যখন সিবিআই তদন্ত শুরু হয় তখন এই বারোটি কার্ডিয়োলজির সার্পোটিং ডকুমেন্ট ছিল না। সেই প্রেক্ষিতে আমরা স্বাস্থ্য ভবনে ই ফাইল করি। আমরা জানতে চাই টোটাল কত সিটের কাউন্সিলিং করব? সেখান থেকেই আমাদের জানানো হয় যেহেতু বারোটি সিট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাহলে ১০৫ তৈরি করুন।”