Dilip Ghosh: কেন্দ্রের টাকা বন্ধ হতেই মারপিট-খেয়োখেয়ি শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলে: দিলীপ
Dilip Ghosh: 'উৎসবের মধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দল চলেছে। যত জায়গায় বিজয়া সম্মেলনী হয়েছে সব জায়গায় মারপিট হয়েছে। সেই জন্য বিজয় সম্মেলনী বন্ধ করে দিয়েছে ওরা।'

কলকাতা: রাজ্যে উৎসব মিটতেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC group Clash) খবরে এসেছে। সেই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। নিত্যদিনের মতো প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও।
কী বলেছেন দিলীপ?
‘উৎসবের মধ্যেই গোষ্ঠী কোন্দল চলেছে। যত জায়গায় বিজয়া সম্মেলনী হয়েছে সব জায়গায় মারপিট হয়েছে। সেই জন্য বিজয় সম্মেলনী বন্ধ করে দিয়েছে ওরা। আমরা সাড়ে বারোশো মণ্ডলের বিজয়া সম্মেলন করলাম। অথচ তৃণমূল তার ব্লকে-ব্লকে করব বলেছিল। কিন্তু কয়েকটা করেই নমুনা দেখেছেন। যে নেতারা সম্মেলনকে যোগ দিতে গিয়েছেন, সেই নেতারা ওখানে গিয়ে গন্ডগোল থামাতেন। পুলিশকে গিয়ে গন্ডগোল থামাতে হয়েছে। মারপিট ধাক্কাধাক্কি থেকে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এই হচ্ছে বিজয়া সম্মেলন। এই সমাজ বিরোধী দলটা থাকলে বাংলার সর্বনাশ নিশ্চিত। যত পঞ্চায়েত এগোবে মারপিট আসবে। কেন্দ্রের টাকা বন্ধ হতেই মারপিট খেয়োখেয়ি শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই হিংসার মাধ্যমে ওরা পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে চাইছে।’
উৎসবের মরশুমে ব্লকে-ব্লকে তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের গোষ্ঠীকন্দোলের অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন আগে ভাঙড় থেকে তৃণমূলের কোন্দলের খবর সামনে আসে। একটি সরকারি প্রকল্পকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী।
এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের বিজয়া সম্মেলনীতে যোগ দিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সামনেই দেখা যায় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কাজিয়া তুঙ্গে। এগড়া বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক এবং কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণ কুমার মাইতির নাম ছিল না ওই অনুষ্ঠানের কার্ডে। এই নিয়েই শুরু হয় তরজা। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি, চণ্ডীপুরে বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা কাঁথি পুরসভা উপপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি সামনেই বচসা বাধে। পরে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়।





