কলকাতা: তৃণমূলের ‘ভাষা সন্ত্রাস’ নিয়ে এবার খোঁচা দিলীপ ঘোষের। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, রাজনীতির স্বার্থে বাংলার ঐতিহ্যকে কালিমালিপ্ত করছে শাসকদল। একইসঙ্গে এই কুকথার উৎস প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের পর্যবেক্ষণ, “বাঁশ আলাদা আলাদা হলেও ঝাড় তো একটাই।”
রবিবার ডুমুরজলায় সভা ছিল শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখান থেকেই ডোমজুড়ের পদত্যাগী বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে সাংসদ বলেন, “রাজীবের শরীরে যদি ভদ্রলোকের রক্ত বয়, তবে যেন ডোমজুড়ে প্রার্থী হয়, পালিয়ে না যায়।’’ একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ ছিল, “অমিত শাহরা যে তৃণমূল নেতাদের বাঘ ভেবে দলে টেনেছেন, তাঁরা আসলে বেড়াল।”
এর আগে কাঁথিতে সভা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করতে গিয়ে লাগামহীন হয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের ভাষা। সেদিন অভিষেক বলেছিলেন, “তোর বাপকে গিয়ে বল পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি, যা করার কর।” এ নিয়ে বিরোধীদের চরম সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় তাঁকে।
সোমবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আজকে যারা বাংলা সংস্কৃতির ঠিকা নিয়েছে তাদের কী ভাষা মানুষ সবই বুঝতে পারছেন। ঝাড় তো একটাই, বাঁশ আলাদা আলাদা। বলা হয় আমরা নাকি বাংলার সংস্কৃতি বুঝি না। ভাল জামা কাপড় পরে, ভাল ভাল কথা বলে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তাদের আসল দাঁত বেরিয়ে গিয়েছে। মানুষ আসল রূপ বুঝতে পারছে।” যাঁরা ভদ্রলোক ছিলেন তাঁরা ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন, সংযোজন দিলীপের।