AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আড়াই মাসও কাটল না! বিজেপি ছাড়লেন ফুটবলার-নেতা দীপেন্দু বিশ্বাস

দিলীপ ঘোষকে চিঠি পাঠিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান দীপেন্দু (Dipendu Biswas)।

আড়াই মাসও কাটল না! বিজেপি ছাড়লেন ফুটবলার-নেতা দীপেন্দু বিশ্বাস
ছবি ফেসবুক
| Updated on: May 18, 2021 | 1:35 PM
Share

কলকাতা: তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী না করায় রাতারাতি দল ছাড়েন বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস। রাজনীতির নতুন ইনিংস খেলতে যোগ দেন বিজেপিতে। প্রত্যাশা ছিল, দল বদলে বুঝি বা মিলবে ভোটে লড়ার টিকিট। কিন্তু সে আশা পূরণ হয়নি এই ফুটবলার-নেতার। এবার বিজেপিও ছেড়ে দিলেন দীপেন্দু। সোমবার রাতেই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে চিঠি পাঠিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত জানান তিনি। দল ছাড়ার কারণ হিসাবে উঠে আসছে বিস্ফোরক দাবি। সূত্রের খবর, সোমবার নিজাম প্যালেসে দুই মন্ত্রী-সহ চার নেতাকে ডেকে পাঠানোর ঘটনায় নাকি ক্ষোভ প্রকাশ করেন দীপেন্দু। তিনি নাকি জানান, কোভিড-কালে এমন ঘটনা ঠিক নয়। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। এরপরই বিজেপি ছাড়ার কথা জানান দলকে।

তৃণমূলের ভোট-প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ হতে অভূতপূর্ব এক ছবি দেখা যায় দলের অন্দরে। একের পর এক নেতা, বিদায়ী বিধায়ক ভোটে লড়ার টিকিট না পেয়ে দল ছাড়তে শুরু করেন। বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক লাগে। যে সমস্ত বিক্ষুব্ধ প্রাক্তন বিধায়ক সে সময় দল ছেড়েছিলেন সে তালিকায় ছিলেন দীপেন্দু।

তৃণমূল ছেড়ে দীপেন্দু বলেছিলেন, “আমি দলের জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। বসিরহাটে বিরোধী বলে কিছু নেই। ওখানে আমার বাবা থাকেন। গত ৫ বছর লাগাতার বাড়ি থেকে মানুষকে পরিষেবা দিয়েছি। তাই কেন আমাকে টিকিট দেওয়া হল না তা আমাকে জানাতে পারত। আমার সঙ্গে সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাল সম্পর্ক। এটুকু আশা করেছিলাম।” একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “এই ঘটনা আমার পরিবারের উপর প্রভাব ফেলেছে। আমার বাবা সব থেকে বেশি কষ্ট পেয়েছেন। তিনিও আমার হয়ে মানুষের সঙ্গে ছিলেন। আমি করোনার সময় রাত ১টা পর্যন্ত এলাকায় ঘুরেছি। তার পর বাড়ি এসে স্নান করে মেয়ের মুখ দেখেছি। দল আমাকে একবার জানাতে পারত। এলাকায় পরিবারের একটা মান সম্মান রয়েছে তো!”

কিন্তু এবার বিজেপি থেকেও সরে দাঁড়ালেন তিনি। দীপেন্দু জানান, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে তিনি চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন ইমেল মারফৎ। বিজেপির রাজ্য দফতরেও চিঠির কপি পাঠিয়েছেন। আগেই ছেড়েছিলেন রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত পদ। এবার ছাড়লেন দলও।