
কলকাতা: বিহারের পর বাংলায় ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অগস্টের শুরুতেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হতে পারে। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের উদ্যোগে কর্মীদের ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করা হল। শনিবার নজরুল মঞ্চে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে চারটি জেলার AERO (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), BLO (বুথ লেভেল অফিসার), সুপারভাইজাররা প্রশিক্ষণের জন্য অংশ নেন। এই প্রশিক্ষণে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) নিয়েও যে ট্রেনিং দেওয়া হবে কর্মীদের, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল।
বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে বিতর্ক বেধেছে। ৬৪ লক্ষ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছে। এই অবস্থায় SIR নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বাংলায় ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় কারও নাম বাদ পড়লে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই অবস্থায় এদিন নজরুল মঞ্চে বিএলও-দের প্রশিক্ষণ দেওয়া নিয়ে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু দাস বলেন, “এটা স্পেশাল সামারি রিভিশন। প্রতি বছর হয়। অন্য বছর সেপ্টেম্বরে হয়। এবার একটু আগে শুরু করা হয়েছে। বিএলও-দের যা কাজ, সেই নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ”
এদিন বিএলও-দের ট্রেনিং সংক্রান্ত একটি বই দেওয়া হয়। তাতে উল্লেখ রয়েছে, SIR হলে বিএলও-দের ভূমিকা কী হবে। প্রশিক্ষণ নিতে আসা এক বিএলও বলেন, “এর আগে এত বিস্তারিতভাবে কখনও লেখা ছিল না।”
সিইও মনোজ কুমার আগরওয়াল
তাহলে কি SIR নিয়েও ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে বিএলও-দের? রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) মনোজ কুমার আগরওয়াল বলেন, “SIR তো ভবিষ্যতে হতেই পারে। ট্রেনিং তো বারবার হবে না। ভোট তো হবে ৬-৮ মাস পর। আমরা তো বারবার এসব ট্রেনিং করাতে পারব না। বিএলও-রা এখানে পার্ট টাইম কাজ করছেন। তাঁদের পরে ট্রেনিংয়ে ডাকা যাবে না। ট্রেনিংয়ের জন্য একটা খরচ হয়। তাই গোটা সিলেবাস একবারেই করাব। একদিনের ট্রেনিংয়ে SIR-সহ সব কিছু ছুঁয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে SIR-র জন্য প্রস্তুত থাকতে বলিনি কর্মীদের।” SIR কখন হবে, সেটা জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে তাঁরা সবকিছুর জন্যই প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিলেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, “এখন আমাদের ৮১ হাজার বুথ রয়েছে। ১৪ হাজার বুথ আরও যোগ হবে। আমরা প্রত্যেক বিএলও-কে প্রশিক্ষণ দেব।”
বাংলায় এখনও ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরুর ঘোষণা আনুষ্ঠানিকভাবে করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হলে কর্মীরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য প্রস্তুত থাকতে চাইছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।