
কলকাতা: আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রায় এক বছর পার হতে চলেছে। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত হিসেবে সাজা পেয়েছে সঞ্জয় রায়। আজও সেই ঘটনার স্মৃতি দগদগে শহরবাসীর মনে। আর এবার সেই ঘটনার প্রতিবাদে অগ্রভাগে থাকা তিন চিকিৎসক তুললেন বিস্ফোরক অভিযোগ। কোন যাদুবলে বদলে যাচ্ছে তাঁদের পোস্টিং!
চিকিৎসক দেবাশিস হালদারের পোস্টিং নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। আর এবার একই অভিযোগ তুললেন অনিকেত মাহাতো ও আশফাকুল্লাহ নাইয়া। কাউন্সেলিং হওয়ার পরও তাঁদের এবং শুধুমাত্র তাঁদেরই পোস্টিং বদলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
অনিকেত ও আশফাকুল্লাহ এতদিন পিজিটি ছিলেন। এবার সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করবেন তাঁরা। সেই কারণে পোস্টিং দেওয়ার জন্য কাউন্সেলিং হয় তাঁদের। সেই কাউন্সেলিং অনুযায়ী আশফাকুল্লাহর পোস্টিং ছিল আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ। আর অনিকেতের পোস্টিং ছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু মেরিট লিস্ট প্রকাশ হওয়ার পর তাঁরা চমকে যান। অনিকেত মাহাতোকে রায়গঞ্জ ও আশফাকুল্লাহকে পুরুলিয়ায় পোস্টিং দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ, ওই লিস্টে ৮৭১ জনের নাম রয়েছে। শুধুমাত্র ওই দুজনের সঙ্গেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
এদিকে, লিস্ট পৃথক হলেও দেবাশিসের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। কাউন্সেলিং-এ তাঁকে হাওড়ায় পোস্টিং দেওয়ার কথা বলা হলেও পরে মেরিট লিস্টে দেখা যায় তাঁর পোস্টিং মালদহের গাজোলে। সেই হাসপাতালে কোনও শূন্যপদ ছিল না। তা সত্ত্বেও কীভাবে দেবাশিসকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মঙ্গলবার এই অভিযোগ নিয়ে জুনিয়র ডক্টরস ফোরামের তরফে স্বাস্থ্য ভবনে বিক্ষোভ দেখানো হয় স্বাস্থ্য ভবনে। অনিকেত মাহাতোদের দাবি, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম তাঁদের বলেছেন যে কাউন্সেলিং-এ যাই হোক না কেন, সরকার যেখানে খুশি পোস্টিং দিতে পারে।