DR BC Roy child Hospital: সরকারি হাসপাতালের OPD-তে ২ ঘণ্টা অপেক্ষা, লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু ৬ বছরের শিশুর

DR BC Roy child Hospital: হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত শিশুর নাম শাকিব। বয়স ছয়। শাকিব হাওড়ার বাঁকড়ার বাসিন্দা। বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রবল জ্বরে ভুগছিল বাচ্চাটি। সোমবার কার্যত বাড়াবাড়ি হয়।

DR BC Roy child Hospital: সরকারি হাসপাতালের OPD-তে ২ ঘণ্টা অপেক্ষা, লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু ৬ বছরের শিশুর
কান্নায় ভেঙে পড়েছে মৃতের পরিবারImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 18, 2025 | 4:21 PM

কলকাতা: বড় ঘটনা কলকাতায়। বিনা চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ সরকারি হাসপাতালে। মৃতের পরিবারের দাবি, হাসপাতালে পৌঁছেও যথাসময়ে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গিয়েছে বছর ছ’য়ের ওই শিশু। কান্নায় ভেঙে পড়েছে মৃতের পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় ঠেলেছে মৃত শিশুর পরিবারের দিকেই। 

হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত শিশুর নাম শাকিব। বয়স ছয়। শাকিব হাওড়ার বাঁকড়ার বাসিন্দা। বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রবল জ্বরে ভুগছিল বাচ্চাটি। সোমবার কার্যত বাড়াবাড়ি হয়। তাকে নিয়ে তড়িতড়ি বিসি রায় শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসে তার মা-বাবা। সঙ্কটজনক শিশুকে এমার্জেন্সিতে না দেখেই ওপিডি’তে পাঠানোর অভিযোগ।

এরপর দু’ঘণ্টা ধরে ওপিডি-তে(OPD) লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিল শাকিবের পরিবার। শিশুর চিকিৎসার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েই ছিলেন তাঁরা। কিন্তু তার মধ্যেই অত্যন্ত মর্মান্তিক পরিণতি। চিকিৎসার অপেক্ষায় থাকতে-থাকতেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে ছোট্ট শাকিব। বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে সিসি ফুটেজ পরীক্ষা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সিসি ফুটেজে গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে।

বিসি রায় শিশু হাসপাতালের অধ্যক্ষ দিলীপ পাল বলেন, “এই অভিযোগ সঠিক নয়। বাচ্চার জ্বর ছিল। এখন যদি দশদিন বাদে আনে তাহলেও আমরা বাঁচাতে পারতাম না। তবে এমার্জেন্সিতে ভর্তি না‌ নিয়ে ওপিডিতে পাঠানো ঠিক হয়নি। এটা তো নিয়ম নয়। আমরা তদন্ত করে দেখছি। সবটা আমরা খোঁজ নিচ্ছিল। সিকিউরিটি হয়ত বলেছে আউটডোর চলছে। তবে সবটাই আমরা খতিয়ে দেখছি। বাচ্চা যদি অত্যধিক না অসুস্থ হত তাহলে কি মারা যেত?

মৃতের পরিবারের এক সদস্য বলেন, “ওর জ্বর হয়েছিল। ওষুধও খাইয়ে ছিলাম। তবে কমেনি। এরপর উলুবেড়িয়ায় নিয়ে যাই। ওরা বলল হয় মেডিক্যাল নয় পিজি নয়ত শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। ১১টার সময়ে এখানে এসেছি। একবার বলছে এখানে যাও, একবার বলছে ওইখানে যাও। এরম করে করে শেষ হয়ে গেল।”

মৃত শিশুর মা বলেন, “আমি ১১টার সময় এসেছিলাম। যখন এই জায়গায় এলাম বলল বেরিয়ে যান। বলল ওইখানে গিয়ে দেখান। ইমারজেন্সিতে ভর্তি নেয়নি। ওইখান থেকে বের করে দিল। বলল লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে কার্ড করতে। তারপর বলল ওপিডিতে যাও। একবার বলে এখানে যাও-একবার বলে ওইখানে যাও। এই করে-করে শেষ হয়ে গেল আমার বাচ্চা।”