
কলকাতা: দমদমে জেসপের সম্পত্তি জমি মাফিয়াদের দখলে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের। হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। অভিযোগ, ডিগলা রোডে জেসপের বিল্ডিং ভেঙে বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলেছে জেসপ ওয়ার্কাস ইউনিয়ন।
জেসপ ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সম্পাদক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জেসপের জমির ভিতরেই বিল্ডিং হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি নির্মাণ। প্রশাসন জানে। কর্তৃপক্ষ জানে। কেডিএম লোকেরা এসে ম্যাপ করে নিয়ে গেছে। বিএলআরও অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এর পিছনে সব রাজনৈতিক নেতৃত্বেরই হাত রয়েছে। নেতাদের হাত না থাকলে অবৈধ নির্মাণ হতে পারে না।”
অন্যদিকে, জেসপ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ন ভোলা যাদব বলেন, “জেসপ শেষ হয়েছে এক মাত্র এখানকার যাঁরা কর্তা, তাঁদের জন্য। তাঁরা নিজেদের ভাগ্য বিধাতা মনে করেন। দমদমের ভাগ্য বিধাতাদের জন্যই, টাকা বিনিময়েই এই সব হচ্ছে। আমি আন্দোলন করছি বলে, আমার গাড়ি আটকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বুড়ো তোর বয়স হয়ে যাচ্ছে, শেষ হয়ে যাবে আর কদিনে… আমি থানায় অভিযোগ জানিয়ে এসেছি।”
সরকারি জমি দখল নিয়ে অভিযোগ এলে, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে কী করতে হবে, তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে। তারপরও দমদমে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ। ডিগলা রোডে জেসপের জমির ভিতরে বসত বাড়ি নির্মাণ, দমদমের তিন নম্বর গেট লাগোয়া হাজরা বিল্ডিংয়ে জমি দখল করে প্রোমোটিংয়ের উদ্দেশে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোও হয়েছে সেই অভিযোগ। বসতবাড়ির মালিকের বক্তব্য, তিনি নাকি পুরসভার অনুমতিতেই থাকছেন। তিনি বলেন, “আমি তো পৌরসভাকে চিনি। পৌরসভা দিয়েছে অনুমোদন। বিএলআরও অফিসে জমা। ট্যাক্স পে। তিরিশ বছর ধরে রয়েছি। এতদিন অসুবিধা হয়নি। এখন এক জন কে নেতা রয়েছেন, হপ্তা তুলে খান, পয়সাকড়ি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, তাই ঝামেলা।”
তবে কারা জমিতে বাউন্ডারি দিয়েছেন, তা স্পষ্ট না হলেও, প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁরাও ১৪৪ ধারা জারি করে দাবি করেছেন, এই জমির মালিক তাঁরা। তৃণমূলের পৌরপ্রধান বলছেন, জমির রেকর্ডে মালিকানাসত্বে জেসপের উল্লেখ নেই। যদিও জেসপের ইউনিয়নের দাবি, এই জমি তৃণমূলেরই। দমদম পৌরসভার চেয়ারম্যান হরেন্দ্র সিংহ বলেন, “দমদম গার্লস স্কুলের উল্টোদিকের জায়গা কোনওদিনই জেসপের ছিল না। ওখানে জেসপের অল্প একটু জায়গা রয়েছে। বহু বছর ধরে রেকর্ড রয়েছে, প্রাইভেট কারোর নামে। জেসপের নিরাপত্তারক্ষীরা থাকত।”