
কলকাতা: পুজোর মুখে বড় বিপাকে কুমোরটুলির শিল্পীরা। থমকে যাবে কি প্রতিমা তৈরির কাজ? কেন এই প্রশ্ন, প্রতিমা শিল্পীদের দাবি, পরিবেশের দোহাই দিয়ে পুলিশ বলছে প্রতিমার সাজসজ্জায় কোনও রকম থার্মোকল-চুমকি ব্যবহার করা যাবে না। এদিকে, দুর্গাপুজোর আর চল্লিশ দিনও বাকি নেই। এমন ফরমানে কার্যত সমস্যায় পড়েছেন শিল্পীরা। কীভাবে সাজানো হবে প্রতিমা? সেই আশঙ্কায় দিন কাটছে।
সামনেই দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই শপিং শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। তোড়জোড় চলছে শেষ মুহূর্তের। জায়গায়-জায়গায় মণ্ডপ বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে। কুমোরটুলিতেও চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। তার মধ্যেই এমন অভিযোগ উঠল।
এক প্রতিমা শিল্পী বলেন, “লাখো-লাখো, কোটি-কোটি টাকা আমরা বিনিয়োগ করে ফেলেছি। আমাদের এটা যদি চৈত্র বা বৈশাখ মাসে বলত থার্মোকলের কাজ হবে না। থার্মোকলে জড়ি-চুমকির ব্যবহার করা যাবে না তাহলে আমরা অন্য কিছু ভাবতাম। আমাদের প্রচুর টাকার বিনিয়োগ হয়েছে। পুজোর একমাস আগে যদি বলে তাহলে আমরা যাব কোথায়? পরিবার নিয়ে বাঁচব কোথায়?”
আরও এক প্রতিমা শিল্পী বলেন, “দিন পনেরো হবে পুলিশ দোকানে-দোকানে যাচ্ছে। সাজের দোকান, প্যান্ডেলের দোকানে যাচ্ছে হুমকি দিচ্ছে। থার্মোকলের বিকল্প বের করার জন্য সরকার তো কিছু করবে। এই বছর যদি ছাড় না দেয় আত্মহত্যা করতে হবে। একটাও প্রতিমা বাইরে বেরবে না।” যদিও, পরিবেশবিদরা বলছেন এই থার্মোকল পরিবেশের জন্য সত্যই খারাপ। তবে, শিল্পীদের দাবি যদি এমন ফরমান জারি করতেই হত তাহলে আগে কেন নয়?