কলকাতা: সিপিএমের যুব সংগঠন DYFI ব্রিগেড সমাবেশ দেখিয়ে দিয়েছে জনসমর্থন কাকে বলে! কিন্তু গত রবিবারের ব্রিগ্ৰেড সমাবেশের গুরুত্ব নেই বিজেপি-র নেতাদের কাছে। সূত্রের খবর, ব্রিগেড সমাবেশের লোকসমাগম নিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্বিগ্ন হতে বারণ করছেন বিজেপি-র নেতারা। বরং তাঁদের পরামর্শ, দলের যে সব কর্মসূচি রয়েছে, তা ঠিক ভাবে পালন করতে। দলের কর্মীদের উদ্দেশে রাজ্য নেতারা বলছেন, গত ১৩ বছরে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে যত লোক হয়েছে, তত ভোট কমেছে। তাই ব্রিগেডের সমাবেশে লোকসমাগম দেখে ঘাবড়ানোর দরকার নেই।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বামেদের উত্থান হচ্ছে বিশ্বাস করি না। বামেরা গৃহীত, পরীক্ষিত, প্রমাণিত। বামেদের মানুষ চিনে ফেলেছে। এই মুখোশকে কটা মুখ দিয়ে ঢেকে ফেলা যাবে না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই দিতে পারে বিজেপি। তাই মানুষ ক্ষোভ উগরে দিতে ব্রিগেডে এসেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তৃণমূলকে হারাতে ভোট দেবেন বিজেপিকেই। বিজেপি ছাড়া ভোট অন্য জায়গায় যাবে না।”
অন্য দিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বক্তব্য, “৩৪ বছরের সরকারে যেদিন পরাস্ত হয়েছিল, সে বছরের ব্রিগেডের ভিড় মনে করে দেখুন। সিপিএমের জীবনের সবচেয়ে বড় ব্রিগেড ছিল সেটা। আর সিপিএমের জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃসময়ও ছিল সেটা।”
কিন্তু কেন এত আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
বিজেপি অন্য একটি সূত্রে খবর, ব্রিগেডের সমাবেশ দেখে গেরুয়া শিবির কিন্তু চাপে রয়েছে। যে দলটা কার্যত লোকসভা বিধানসভায় শূন্য, তাহলে কোন মহিমায় এত মানুষ চলে এল? কিন্তু বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বলছে, ব্রিগেডের ভিড় দেখে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। শীর্ষ নেতৃত্ব যে অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছে, সেটা বাস্তবায়িত করলেই, বামেদের ভোট বিজেপিই পাবে। যেমন একুশের নির্বাচনে রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই ব্যাখ্যা ছিল, বামেদের অনেকটা ভোট কেটেছিল বিজেপিই। তাই দলীয় কর্মীদের মনের ধোঁয়াশা কাটাতে শীর্ষ নেতৃত্ব দিচ্ছেন দাওয়াই।