
কলকাতা: ভুয়ো এন্ট্রি কোনও মতেই বরদাস্ত নয়। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা কমিশনের। যা প্রকাশ পেল শনির বৈঠকেও। পাশাপাশি, যে সব জায়গায় এখনও ফর্ম বিলির কাজ অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে, সেখানকার সংশ্লিষ্ট বিএলও এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ইআরও-দের হাত চালিয়ে কাজ করার নির্দেশ কমিশনের।
বাংলায় পুরোদস্তুর চলছে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজ। শুক্রবার পর্যন্ত বিলি হয়ে গিয়েছে ৭ কোটি ৪৫ লক্ষ এনুমারেশন ফর্ম। অর্থাৎ ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বললেই চলে। আর এই আবহেই বৈঠকের ডাক রাজ্য়ের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়ালের। আগামী ১৮ই নভেম্বর ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আসতে চলেছে রাজ্যে। তার আগে শনিবার আয়োজন হল আরও একটি বৈঠকের। জেলাশাসকদের সঙ্গে ‘লাস্ট মিনিট প্রিপারেশন’ সেরে নিলেন রাজ্যের সিইও।
এদিনের বৈঠক থেকে ফের বিএলও-দের ঘাড়ে খাঁড়া নামিয়েছে কমিশন। যখন রাজ্যজুড়ে কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন বিএলও-রা। সেই আবহে কমিশনের ‘নজরেও’ সেই বিএলওরাই। ফর্ম বিলি থেকে ফর্ম ফিল-আপ, নিবিড় পরিমার্জনের একেবারে প্রাথমিক পর্বের কোনও পরিসরে ভুল থাকা যাবে না। বাড়তি সতর্কতা দেখাতে হবে বিএলও-দের। শনির বৈঠক থেকে ইআরও-দের এমনই বার্তা দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, কোনও যাবে ভুয়ো তথ্য বা ফেক এন্ট্রি হয়, তা হলে বিএলও-দের বহন করতে হবে শাস্তির খাঁড়া।
তবে কমিশনের বাক্য বিনিময় এই টুকুতেই সীমিত থাকেনি। যখন গোটা রাজ্যে ফর্ম বিলির কাজ প্রায় শেষের দিকে, সেই সময়ও কেন এই ফর্ম বিলির নিরিখে পিছিয়ে পশ্চিম বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, শনিবার সেই প্রশ্নই তুলেছেন কমিশনের আধিকারিকরা। ফর্ম বিলি শেষ না হওয়া জেলাশাসকদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।