Human Trafficking Racket in Bengal: মেয়েদের কাজের টোপ দিয়ে পাচার! তদন্তে নেমে কোটি টাকা উদ্ধার ইডির
Human Trafficking News: শুক্রবার একযোগে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। দক্ষিণ দমদমের শ্রাচি গার্ডেন এলাকায় এক হোটেল ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় তাঁরা। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তল্লাশি অভিযান চলে সল্টলেকের একটি হোটেলও। বলে রাখা প্রয়োজন, এই অভিযান যে শুধুই শহর কলকাতার মধ্য়ে সীমিত থেকেছে এমনটা নয়।

কলকাতা: শহরের অন্দরেই গড়ে উঠেছে বড় চক্র। চলছে মানবপাচার। পাচারকারীদের খুঁজে পেতে হন্যি হয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অবশেষে সেই মানবপাচার তদন্তেই কিছুটা হলেও কাটল অন্ধকার। শুক্রবারের তল্লাশি অভিযানের পর ১ কোটির বেশি নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডি আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দু’টি বিলাসবহুল গাড়িও। যাদের দর কয়েক লক্ষ টাকার অধিক।
শুক্রবার একযোগে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। দক্ষিণ দমদমের শ্রাচি গার্ডেন এলাকায় এক হোটেল ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় তাঁরা। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তল্লাশি অভিযান চলে সল্টলেকের একটি হোটেলও। বলে রাখা প্রয়োজন, এই অভিযান যে শুধুই শহর কলকাতার মধ্য়ে সীমিত থেকেছে এমনটা নয়। শিলিগুড়িতেও এই মামলায় তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারী। শুক্রবার গৌতম সরকার নামে শহরের এক অন্যতম হোটেল ব্যবসায়ীকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁরা। এরপর শনিবার প্রকাশ্য়ে এল বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রীর তালিকা।
এই মানবপাচার মামলা আজকের নয়। ২০১৫ সালে সর্বপ্রথম একটি মামলার প্রেক্ষিতে এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশের নজরে পড়ে শহরের নামী পানশালা ও ডান্সবারগুলি। কিছুটা অনুসন্ধান চলতেই এর সঙ্গে মিলে যায় এক বড় চক্রের যোগ। জুড়ে যায় আর্থিক তছরুপও। তারপরই মামলার তদন্তভার নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুক্রবার এই মামলায় প্রথম তল্লাশি অভিযানে নামেন তাঁরা। শনিবার বাজেয়াপ্ত কোটি কোটি টাকা।
ইডি র্যাডারে কারা?
মানবপাচার মামলা তিন মূল অভিযুক্ত রয়েছে ইডি র্যাডারে। নাম জগজিৎ সিং, আজ়মল সিদ্দিকী ও বিষ্ণু মুন্দ্রা। এরা প্রত্যেকেই শহরের নামজাদা হোটেল, পানশালার মালিক। রাজ্য পুলিশের অভিযোগ, এঁদের হাত ধরেই শুরু হয়েছে মানবপাচার চক্র। প্রথমে কাজ পাইয়ে দেওয়া টোপ দিয়ে গ্রামের মেয়েদের এই অভিযুক্তরা শহরে টেনে আনেন। তারপরই চক্রান্তের প্রথম ধাপ। মেয়েদের ঘরচ্যুত করে, হুমকি-হুঁশিয়ারি দিয়ে কাজ করানো হয় পানশালায়। এরপর তাঁদের যৌনকর্মী হিসাবে কাজ করতে বাধ্য করায় অভিযুক্ত ও তাঁদের সহযোগীরা। মাস কতক তা চলার পর। সর্বশেষ ধাপ। পাচার করে দেওয়া হয় মেয়েদের। রাতারাতি, কেউ চলে যান অন্য দেশে, কেউ বা অন্য রাজ্যে। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে রাজ্য় পুলিশ। এবার তদন্তে নেমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ইডি।
