‘উপনির্বাচনটা ক্লিয়ার করে দিন,’ মোদীকে ‘অনুরোধ’ মমতার

সৈকত দাস |

Jun 23, 2021 | 6:58 PM

নিয়মমাফিক ভোটের ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার মধ্যে দেড়ে মাসের বেশি সময় ইতিমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে এদিন দ্রুত উপনির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্নের আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

উপনির্বাচনটা ক্লিয়ার করে দিন, মোদীকে অনুরোধ মমতার
ভবানীপুরে ভোট ঘোষণার পরও পুজো কমিটিকে অনুদান কী ভাবে? রাজ্যের জবাব চাইল কমিশন

Follow Us

কলকাতা: করোনা (Corona) পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তাই শীঘ্রই নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে উপ-নির্বাচন (By Election)-এর আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।

বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, “উপনির্বাচনের জন্য বেশি দিন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা প্রস্তুত আছি।” আর তার পরেই কমিশন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করতে শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর কথায়, “আমি তো শুনেছি প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত না পেলে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের অনুমতি দেবে না। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আমাদের উপনির্বাচনটা ক্লিয়ার করে দিন।”

একুশের বিধানসভা ভোটে জিতে রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল (TMC)। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও মমতা হ্যাটট্রিক করেছেন। কিন্তু নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন। যদিও সেই ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ তুলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিষয়টি এখন হাইকোর্টের বিচারাধীন। এদিকে নিয়মমাফিক ভোটের ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার মধ্যে দেড়ে মাসের বেশি সময় ইতিমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে এদিন দ্রুত উপনির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্নের আবেদন জানালেন মমতা।

শুধু মুখ্যমন্ত্রীর একার আসন নয়, সাড়ে চার মাসের মধ্যে আরও সাতটি আসনে উপনির্বাচনও হওয়ার কথা। যার মধ্যে রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী অমিত মিত্র এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও জিতিয়ে আনতে হবে। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরির উদ্দেশে এই উপনির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে খোদ নির্বাচন কমিশন। করোনার অজুহাতে ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন নাও হতে পারে। এবং সবটাই কেন্দ্রের কথামতো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

মমতাকে জিতে আসতে বাধা দেবে খোদ নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এমনই আশঙ্কা করে কিছুদিন আগে টুইট করেছিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা অধুনা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। মমতার বিধানসভায় যাওয়া আটকাতে আগামী কয়েকমাসে কোনও ভোটের আয়োজনই করবে না কমিশন। এমনই অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি উড়িয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসেই নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি

এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীও সেই একই অভিযোগ করলেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে মোট ৭ আসনে উপনির্বাচন বাকি। এখন কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাই যে কোনও সময় উপনির্বাচন হতে পারে। সাতদিন সময় দিয়ে উপনির্বাচন করুতে আর্জি জানান তিনি। বলেন, উপনির্বাচনে প্রার্থীদের বেশি সময় দেওয়ারও প্রয়োজন নেই।

Next Article