
কলকাতা: রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের বড় পদক্ষেপ। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার লাইসেন্স বাতিল। ওষুধের গুণমান নিয়ে প্রশ্নের জেরে লাইসেন্স বাতিল লোকনাথ মেডিক্যালের। ওষুধের গুণমান নিয়ে গত জানুয়ারি মাসেই অভিযোগ আসে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকদের কাছে। জানুয়ারি মাসেই লোকনাথ মেডিক্যালে হানা দেন আধিকারিকরা।
পরিদর্শনে নিয়ম লঙ্ঘনের দশ গলদ ধরা পড়ে। রেফ্রিজারেটরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সযত্নে রাখার অভিযোগ ওঠে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ আলাদা করে রাখার ক্ষেত্রে আলাদাই নিয়ম রয়েছে। আর সেক্ষেত্রেই গাফিলতি লক্ষ্য করা যায় এক্ষেত্রে। ২-৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সংরক্ষণ না করে বাইরের তাপমাত্রায় রাখা হয় জীবনদায়ী ওষুধ।
পরিদর্শনে ড্রাগ আধিকারিকেরা লক্ষ্য করেন, জল চুঁইয়ে নষ্ট হচ্ছে মজুত হয় ওষুধ। নোংরা মেঝের মধ্যেই রাখা ছিল হাসপাতালে সরবরাহের একাধিক ওষুধ। সন্দেহভাজন ওষুধের পারচেজ বিল দেখাতে পারেনি অভিযুক্ত সংস্থা।
এর আগে লোকনাথ মেডিক্যালের সরবরাহ করা ওষুধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল এনআরএস। এসএনসিইউ বিভাগে সরবরাহ করা ইঞ্জেকশনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় স্বাস্থ্য ভবনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এনআরএস কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের অভিযানে হাওড়ার আমতা-সহ উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহের বিভিন্ন জায়গা থেকে জাল ওষুধ উদ্ধার হয়েছে। জাল ওষুধের কারবারিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের আবেদন মেনে আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি-ও। তার মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার লাইসেন্স বাতিল আক্ষরিক অর্থের বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।