কলকাতা: গত কয়েক মাসে সল্টলেকে একাধিক ভুয়ো কলসেন্টারে তল্লাশি চালিয়েছিলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে বিদেশি নাগরিকদের ফোন করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ ওঠে। এবার চৌরঙ্গীর একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পেল কলকাতা পুলিশ। বুধবার রাতে সূত্র মারফত খবর পেয়ে ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার তদন্তকারীরা বেশ কিছু নথিপত্র-সহ ল্যাপটপ এবং ইলেকট্রনিক্স গেজেট উদ্ধার করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশি নাগরিকদেরই ফোন করতেন এই কলসেন্টারের কর্মীরা। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই সংস্থার কর্মীরা মূলত টার্গেট করতেন অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দাদের। ফোন করে এখানে কম দামে জমি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিতেন। তাঁদের কাছ থেকেই ব্যাঙ্কের তথ্য কথার ছলে হাতিয়ে নিতেন অভিযুক্তরা। এরপর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন।
চৌরঙ্গীর এই ফ্ল্যাটে বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছিল এই প্রতারণার ব্যবসা। কয়েকশো কোটি টাকা প্রতারণা করেছে এই সংস্থা। বুধবার রাতে তল্লাশি চালিয়ে ওই সংস্থার ৪০ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদেরকে বাসে করে আদালতে পেশ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে আইটি অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই সংস্থার আরও অনেক অফিস রয়েছে। এই চক্রের মাথারা ঘাপটি মেরে রয়েছেন। তাঁদেরই খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ভুয়ো কল সেন্টার চক্রের কিংপিন কুণাল গুপ্তা এখন জেলা হেফাজতে। কিন্তু এখনও শহর কলকাতার বুকে এই ধরনের চক্র সক্রিয়, এবার তারই খোঁজে জাল বিছিয়েছেন তদন্তকারীরা।