
কলকাতা: এই কয়েকদিন আগের ঘটনা, অভিযোগ উঠেছিল জাল ওষুধ বিক্রির। প্রেশার, সুগার, অ্যান্টাসিট থেকে শুরু করে অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ওষুধে আসলের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ৩০ শতাংশ জাল ওষুধ। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল কলকাতায় হানা দিয়ে এমনই ওষুধ একাধিক ওষুধের বিষয়ে জানতে পেরেছিল। এবার এই আবহের মধ্যেই আরও এক উদ্বেগ প্রকাশ করল ‘সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’ বা CDSCO-র। অনুমোদনহীন ভাবে ওষুধ উৎপাদন, খুচরো বাজারে বিক্রির লাইসেন্স পাচ্ছে কী ভাবে? রাজ্যগুলির ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। ৩৫টি ড্রাগের তালিকা দিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে তারা।
জানা যাচ্ছে, ‘ফিক্সড ড্রাগ কম্বিনেশন’-এর ক্ষেত্রে এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এই ‘ফিক্সড ড্রাগ কম্বিনেশন কী? বাজারে প্যারাসিটামলের অনুমোদন আগে থেকেই রয়েছে। কিন্তু এই প্যারাসিটামলের সঙ্গে অন্য একটি উপাদান (মলিকিউল) মিশিয়ে নতুন ড্রাগ তৈরি হচ্ছে। তারপর সেগুলি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়াই উৎপাদনের পর বাজারজাত করা হচ্ছে বলে দাবি CDSCO-র। বিষয়টি জানতে পেরেই কেন্দ্র এই সতর্কবার্তা জারি করেছে।
CDSCO-র বক্তব্য, যে সকল কোম্পানি এই ধরনের ওষুধ তৈরি করছে তাদের শোকজ করার পর জানা যাচ্ছে, এই ওষুধগুলিকে বাজারে বিক্রির লাইসেন্স দিচ্ছে রাজ্য। সেই কারণে রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। নতুন ড্রাগের কার্যকারিতা,নিরাপত্তা যাচাই না করেই ঢালাও অনুমোদন দিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এরপরই সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সতর্কবার্তা জারি সিডিএসসিও’র।