কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবের গ্রেফতারির পর থেকেই ক্রমশ চাপ বাড়ছে কলকাতা পুরসভার উপর। এরই মাঝে তালতলায় রবীন্দ্রনাথের মূর্তির তলায় থাকা সেই বিতর্কিত ফলক অস্বস্তি বাড়িয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের। শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে এ গোটা ঘটনায় এ বার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের উত্তর কলকাতা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অশোক চক্রবর্তী। আইনটিটিইউসি নেতা দাবি করেছেন, সুদীপ ও নয়না তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছেন। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।
দেবাঞ্জনের যাবতীয় মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং ভুয়ো ভ্যাকসিনের সরঞ্জাম মজুত করার অভিযোগ উঠেছে অশোক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যদিও, শনিবার সেই সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন অশোক চক্রবর্তী ওরফে মানা। তাঁর সঙ্গে দেবাঞ্জনের প্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগ ছিল না বলেও তিনি দাবি করেছেন। তিনি উল্টে আঙুল তুলেছেন তালতলার সেই ওয়ার্ডের পুর কোর্ডিনেটর ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায়দের দিকে। এমনকী, ইন্দ্রানী টাকা নিয়ে অনেককে চাকরির ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের জেলা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির। ইন্দ্রানীর সঙ্গে দেবাঞ্জনের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করেছেন অশোক। তিনি কোনও আর্থিক লেনদেনে জড়িত নন বলে দাবি অশোকবাবুর। ইন্দ্রানী যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ পত্রপাট খারিজ করেছেন। ইন্দ্রানী পালটা আঙুল তুলেছেন অশোকের দিকেই।
আরও পড়ুন: ‘আমার নামে তো কত ফলক লাগানো আছে! নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ছবি তুললে সেই তদন্ত কে করবে?’
পরপর ঘটে চলা ঘটনাপ্রবাহ যে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় নিজের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মানা। তাঁর সাফ দাবি, “সুদীপ ও নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় ফাঁসাচ্ছেন। দেবাঞ্জনকে আমি চিনতামও না।” অন্যদিকে, ইন্দ্রানীর বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, “ওঁ অনেককে চাকরি দিয়েছে। এখন মিথ্যা কথা বলছে। পুলিশ কমিশনারকে দিয়ে আমি সিআইডি তদন্ত চাইছি। নাহলে আমি হাইকোর্টে যাব। আমার মানহানী করতে এলে সুপ্রিম কোর্টে যাব।” সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “এখানে অনেক ঘাপলা আছে। সব ঘাপলা আমি বলে দেব। সুপ্রিম কোর্টে।”
আরও পড়ুন: Fake Vaccination: ‘দিলীপ ঘোষরাই ভ্যাকসিন জালিয়াতি করিয়েছেন,’ বিস্ফোরক কল্যাণ