কলকাতা: ওয়াটগঞ্জে মহিলার দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় পরতে পরতে রহস্য। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত জানা যায়নি পরিচয়। অবশেষে বুধবার রাতে জানা গেল পরিচয়। পুলিশি তদন্তে মিলল সাফল্য। যে মহিলার দেহাংশ পাওয়া গিয়েছে তাঁর নাম দুর্গা সরখেল। খিদিরপুরের পদ্মপুকুরে বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি ৮০ নম্বর ওয়ার্ডের থাকতেন। বিয়ে হয়েছিল ৭৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর এক ১৫ বছরের সন্তানও রয়েছে।
সূত্রের খবর, তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন দুর্গা দেবী। এদিক-ওদিক খোঁজ করেও তাঁর কোনও খোঁজ পায়নি পরিবারের লোকজন। ২০০৭ সালে ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার হেমচন্দ্র সরণীর ধোনি সরখেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। বাড়িতে স্বামী ছাড়াও দেওর, ননদ, শ্বাশুড়ি রয়েছেন। ছেলে পড়াশোনা করছে দশম শ্রেণিতে। কিন্তু, ঠিক কীভাবে, কী কারণে তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হলেন তাঁর তদন্ত করছে পুলিশ। পরিবারের লোকজনের সাথে ইতিমধ্যেই কথা বলছেন ডিসি পোর্ট হরিকৃষ্ণ পাই। রাতেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, দেহাংশ উদ্ধারের পর মহিলার পরিচয় জানতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। যে এলাকা থেকে দেহাংশ উদ্ধার হয় সেখানে সিসিটিভি না থাকায় তদন্ত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে তাঁর শরীরের সমস্ত দেহাংশ না মেলাতেও চাপে পড়ে পুলিশ। প্রথমে পুলিশের হাতে আসে কাটা মুন্ডু। কপালে সিঁদুর, টিপ লাগানো ছিল। কিছু সময়ের মধ্যে বাকি দেহাংশের খোঁজ মিললেও ওই
মহিলার পেটের অংশ, পাতার পাতা এখনও পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে সত্য ডাক্তার রোড এলাকায় একটি পরিত্যক্ত জায়গায় তিনটি প্লাস্টিকের মধ্যে থেকে ওই মহিলার দেহাংশ পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি প্লাস্টিকের মধ্যে মহিলার কাটা মুণ্ড দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারা রুজু করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখন দেখার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের হাতে নতুন কী তথ্য আসে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। পুলিশের সন্দেহ তালিকায় আছে স্বামী ধোনি সরখেল। ধোনির এক আত্মীয়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে থানায়।