কলকাতা : “তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম আমরা দুর্নীতি করেছি। কিন্তু, তাই বলে যে কাজ করবে তাঁর টাকাটা আটকে দেবেন?” একশোদিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে এ প্রশ্নই করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Finance Minister Chandrima Bhattacharya)। সেই সঙ্গে চাঁচাছোলা ভাষায়ও করলেন তুলোধনাও। কেন্দ্রীয় সরকারের সঠিক নীতি না থাকার কারণেই ভুগতে হচ্ছে বঙ্গবাসীকে। খেসারত দিতে হচ্ছে দেশকেও। পড়তে হচ্ছে আর্থিক সঙ্কটের মুখেও। সম্প্রতি রাজ্য বাজেট পেশ করার সময় কার্যত এ ভাষাতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। এবার ফের একবার একশোদিনের কাজের বকেয়া নিয়ে সরব হলেন তিনি।
বাংলার উন্নয়নের গতি থমকাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কারণে। একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়ার কারণে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। সাম্প্রতিককালে এ বিষয়ে লাগাতার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। অন্যদিকে অবাস যোজনা থেকে একাধিক প্রকল্পে রাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগ সরব হয়েছে বিরোধীরা। তৃণমূল নেতাদের রোজই ‘তোলাবাজ’ বলে কটাক্ষ করতে দেখা যায় বিজেপিকে। যদিও জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর চন্দ্রিমার উত্তর, “তোলাবাজি কারা করেছে সেটা মানুষ দেখেছে। মানুষকে বঞ্চিত করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য এ ধরণের কথা বলে মানুষের প্রাপ্য অধিকার আটকানো, এটা কোন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আমরাও জিজ্ঞাসা করতে চাই।”
এরপরেই তিনি আরও বলেন, “১০০ দিনের কাজে ১৫ দিন পর টাকাটা পেয়ে যাওয়ার কথা। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম আমরা দুর্নীতি করেছি। কিন্তু, তাই বলে যে কাজ করবে তাঁর টাকাটা আটকে দেবেন? এটা কী হয় না কি? তাঁর টাকা তো সোজা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাবে। আইন বলে টাকাটা পনেরো দিনের মধ্যে দিতে হবে। মানুষের টাকা আটকাচ্ছেন। একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছেন। সেই হিসাব আমি আগেই দিয়েছি।” তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। আক্রমণ শানিয়েছেন কেন্দ্রের ‘রোজগার’ নিয়েও। বলেন, “আমার এখান থেকে যখন টাকা নিয়ে যান তখন তো বলেন না দুর্নীতি করা রাজ্য থেকে আমি টাকা নেব না। সেটা তো দিব্যি নিয়ে যান। আর ফেরত দেওয়ার সময় সেটা দেবেন না, আমাদের প্রাপ্য টাকা আমাদের দেবেন না এটা কোন ধরণের বুজরুকি!”