কলকাতা: নারদা মামলায় (Narada Case) মঙ্গলবার কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালতে (PMLA Court) হাজিরার নির্দেশ ছিল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ও তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra)। কিন্তু এদিম আদালতে কিছুটা দেরিতে পৌঁছান দুই তৃণমূল নেতা। ততক্ষণে এজলাসে ঢুকে গিয়েছিলেন বিচারক। আর সেই কারণেই মদন মিত্র ও ফিরহাদ হাকিমকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করলেন ইডি বিশেষ আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা। বিচারক ধমকের সুরে বলেন, ‘আপনারা কি ভিআইপি হয়ে গিয়েছেন? আপনাদের জন্য কি আমাকে বসে থাকতে হবে?’
বিচারকের ধমক খাওয়ার পর এদিন আদালত থেকে বেরিয়ে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র জানান, তাঁর যাত্রাপথে এসএসকেএম হাসপাতালের কাছে রাস্তায় যানজট ছিল। তাই তাঁকে অন্য পথ ধরে আসতে হয়েছে। সেই কারণেই দেরি হয়েছে এবং নিজের দেরিতে আসার জন্য তিনি যে লজ্জিত, সেই কথাও জানান মদন মিত্র। যদিও এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম আর কিছু বলতে চাননি।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদ মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই সংক্রান্ত মামলার এদিন শুনানি ছিল আদালতে। প্রসঙ্গত, এদিন আদালতে মদন মিত্র ও ফিরহাদ হাকিমের পাশাপাশি হাজিরা দিতে এসেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি অবশ্যই সময়েই আদালতে পৌঁছে গিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। শোভন চট্টোপাধ্যায় আদালত থেকে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, ‘কেন? আমি তো আগে এসেছি। ফার্স্ট বেঞ্চে বসেছি।’
প্রসঙ্গত, নারদা মামলায় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে নাম জড়িয়েছিল একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। এদিন নারদা মামলায় আদালতে হাজিরা ছিল মদন-ফিরহাদ-শোভনদের। কিন্তু সেখানে দেরিতে গিয়ে হাজির হওয়ায় বিচারকের ধমকের মুখে পড়তে হল ফিরহাদ হাকিম ও মদন মিত্রকে। বেশ কড়া ভাষাতেই তাঁদের দেরি হওয়ার জন্য ধমক দিলেন বিচারক শুভেন্দু সাহা।