কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে আপাতত তিহাড়ে রয়েছেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। বাবা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) আগেই গ্রেফতার হয়ে তিহাড়ে রয়েছেন। আর মেয়ে সুকন্যাকেও এবার ঢোকানো হয়েছে তিহাড়ের গারদে। মেয়ের এই গ্রেফতারি নিয়ে সকালেই মুখ খুলেছেন বীরভূমের ‘বাঘ’ অনুব্রত। বলেছেন, সুকন্যাকে গ্রেফতার করা অন্যায় হয়েছে। এই কেষ্টকে যিনি বাঘের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন সাম্প্রতিক অতীতে, সেই ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) অবশ্য এই নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করলেন না তিনি। মেয়ের গ্রেফতারি নিয়ে অনুব্রতর মন্তব্য প্রসঙ্গে ফিরহাদকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘কে কী বলল, তার উপর আমি মন্তব্য করব না। তবে বিচারব্যবস্থার প্রতি আমার আস্থা আছে। পূর্ণ আস্থা রাখি।’
উল্লেখ্য, সুকন্যার গ্রেফতারির পর ফিরহাদ হাকিমের গলায় বেশ সহমর্মিতার সুর শোনা গিয়েছিল। মাতৃহারা মেয়ের বাবা জেলবন্দি… এমন অবস্থায় সুকন্যার মনের উপর দিয়ে কী চলছিল, তা নিজে একজন বাবা হিসেবে অনুধাবন করতে পারছিলেন ফিরহাদ হাকিম। সেই সময় তাঁর গলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্বও শোনা গিয়েছিল। সুকন্যার গ্রেফতারি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও অত্যন্ত দুঃখের বলে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছিলেন, ‘বাড়ির সন্তানদের নিয়ে অন্তত প্রতিহিংসার রাজনীতি না করাই ভাল।’
প্রসঙ্গত, এদিন যখন কেষ্ট মণ্ডলকে দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে পেশ করা হয়েছিল, তখন মেয়ের গ্রেফতারি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বেজায় বিরক্ত দেখাল তাঁকে। বললেন, ‘মেয়েকে গ্রেফতার করা অন্যায়। ওটা খুব বাহাদুরির কাজ হয়নি।’ মেয়ের গ্রেফতারি নিয়ে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তিনদিনের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে রবিবারই তিহাড় জেলে পাঠানো হয়েছে কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। তিহাড় জেলের ছয় নম্বর মহিলা সেলে রয়েছেন তিনি। আর কেষ্ট রয়েছেন পরবর্তী সেলে অর্থাৎ, সাত নম্বর সেলে। তবে এদিন মেয়ের গ্রেফতারি নিয়ে অনুব্রত যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাইলেন না ফিরহাদ হাকিম।