কলকাতা: ৫৯এ পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট থেকে বের হল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ। চারদিকে তখন থিক থিক করছে মানুষের ভিড়। শববাহী গাড়ি ধরে কাঁদতে কাঁদতে হেঁটে চলেছেন বহু, অনেকে আবার চোখের জল মুছতে মুছতে বুদ্ধবাবুকে এগিয়ে দিলেন পাড়ার মোড় অবধি। এর আগে বহুবার এই পথে গাড়িতেই বেরিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ফিরেছেন আবার। তবে বৃহস্পতিবার পাম অ্যাভিনিউ ছেড়ে রওনা দিলেন, একেবারে অগস্ত্য যাত্রা। ‘দাদা’র চলে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন শান্তি দাস।
শান্তি দাস এক সময় পরিচারিকার কাজ করেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর বাড়িতে। বহুদিন আগের কথা। সে সময় সুচেতনের জন্মও হয়নি। শান্তি দাস বলেন, “ওনার বাড়িতে ঠিকাকাজ করতাম। তারপর ওনাদের মেয়ে হল। বৌদি বলল,শান্তি তুমি জানো, মেয়ের তেলমালিশ তোমাকেই করতে হবে। আমরা একদম বাড়ির পিছনেই থাকি। খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। খুব ভাল ব্যবহার ছিল।”
শান্তি দাসের কথায়, পাড়ায় এরকম একজন মানুষ ছিলেন, সেটাই তাঁদের আলাদা শক্তি ছিল। বলেন, “দাদা ছিল অনেক সাহস পেতাম। কোনও ভয় কাজ করত না। ৫০-৬০ বছর ধরে পাশাপাশি থাকা। আর দেখতে পাব না দাদাকে। ভেবেই তো কান্না পেয়ে যাচ্ছে।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)