কলকাতা: যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় অব্যাহত ধরপাকড়। সৌরভ-দীপশেখর-মনোতোষের পর গ্রেফতার আরও ছ’জন। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর পাকড়াও করা হয়েছে এদেরকে। নজরে আরও অনেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মহম্মদ আরিফ (১৮)। তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, মহম্মদ আশিফ আফজল আনসারি (২২)। তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের পড়ুায়া। গ্রেফতার হয়েছে অঙ্কন সরকার (২০) তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। এছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন অসিত সর্দার নামে একজন প্রাক্তন পড়ুয়া, রয়েছেন সুমন নস্কর ও সপ্তক ক্যামিলা নামের প্রাক্তন পড়ুয়া।
তদন্ত চলাকালীন পুলিশ গোটা বিষয়টি জানার জন্য বিভিন্ন পড়ুয়ার বয়ান রেকর্ড আগেই করেছিল। সূত্রের খবর, সেই সকল বয়ানের সঙ্গে ধৃত চারজনের বয়ানের অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদের মধ্যে মহম্মদ আরিফ দাবি করেছিলেন, ঘটনার দিন প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়াকে তিনি বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর হাত ছাড়িয়েই সে ঝাঁপ মারে হস্টেল থেকে। ধৃত আরিফ কাশ্মীরের বাসিন্দা। তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। শুধু আরিফ নয়, বাকিদের বয়ানেও মিলেছে অসঙ্গতি। শুধু তাই নয়, ওই দিনের ঘটনার পর কেন হঠাৎ করে জিবি মিটিং ডাকা হল? পুলিশের ঢোকা আটকাতে গেট আটকানো হল, এই সব বক্তব্যের মধ্যেই অনেক ফাঁক রয়ে গিয়েছে। সেই কারণে এদের আটক করে রাখা হয়েছে এবং এদের গ্রেফতারির সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। তবে এই চারজন ছাড়াও আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ফলত গ্রেফতারি সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে যাদবপুরের ঘটনায় সর্ব প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন সৌরভ চৌধুরী। এরপর গ্রেফতার হন দীপশেখর দত্ত (১৯), মনোতোষ ঘোষ (২০) নামের দুই পড়ুয়া। এর মধ্যে মনোতোষের ঘরেই ওই প্রথম বর্ষের পড়ুয়া থাকত বলে খবর। এই কয়েকজন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির নজরে রয়েছেন গৌরব দাস ও অরিত্র মজুমদার নামের দুই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া।